নয়া দিল্লি: দেশের ১৪ তম উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Mur) তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন। দেশের নব নির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সদস্যরা। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতানেত্রীদেরও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। আইনজীবী হিসেবে ধনখড়ের দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিজেপির হয়ে বিধায়ক-সাংসদ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে কাজ করার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চরমে উঠেছিল।
Delhi | President Droupadi Murmu administers the oath of office to Vice President-elect Jagdeep Dhankhar
Jagdeep Dhankhar becomes the 14th Vice President of India. pic.twitter.com/26m0SdZPXm
— ANI (@ANI) August 11, 2022
অপ্রত্যাশিতভাবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ পদপ্রার্থী হিসেবে ‘কৃষকপুত্র’ জগদীর ধনখড়ের নাম ঘোষণা করেছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। নাড্ডার ঘোষণার পর বিরোধীদের তরফে মার্গারেট আলভাকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে সংখ্যার বিচারে আগেভাগেই মনে করা হয়েছিল দেশের দ্বিতীয় শীর্ষ সাংবিধানিক পদের নির্বাচনে ‘মসৃণ’ জয় পেতে চলেছেন ধনখড়। তবে রেকর্ড ভোটে তিনি যে জিততে চলেছেন তা হয়তো বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বও আন্দাজ করতে পারেনি। ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ধনখড়। ৭২৫টি বৈধ ভোটের মধ্যে ধনকড় পেয়েছিলেন ৫২৮টি ভোট, বিরোধী দলের মনোনীত প্রার্থী মার্গারেট আলভা পেয়েছিলেন ১৮২টি ভোট, যা ১৯৯৭ সালের পর রেকর্ড।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লোকসভা-রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৭৮০ জন সাংসদের ভোট দেওয়ার কথা ছিল। এরমধ্যে লোকসভার ৫৪৩ জন ও রাজ্যসভার ২৪৫ জন ভোটদাতা সাংসদ ছিলেন। রাজ্যসভায় আটটি আসন শূন্য থাকার কারণে সেই সংখ্যাগুলি ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পর দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, দলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকবে তৃণমূল। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ৬ অগস্ট নির্বাচনের দিন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে ভোট দিতে দেখা গিয়েছে।