নয়া দিল্লি: ১৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গেল রাজ্যসভার কার্যক্রম। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে, কংগ্রেস সাংসদ রজনী পাতিলের বরখাস্তের নির্দেশ প্রত্যাহার এবং আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিতে সভার কার্যক্রমে বাধা দেন বিরোধী দলের নেতারা। সেই সময় কিছু সময়ের জন্য সভার কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। পরে সভার কাজ ফের শুরু হওয়ার পর, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে তাঁর বক্তব্যে অভিযোগ করেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের চাপের আওতায় কাজ করছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। এতে অসন্তুষ্ট হন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। বিরোধী দলগুলির উদ্দেশে, “এটা সভার কাজ চালানোর পদ্ধতি নয়” বলে রাজ্যসভার কার্যক্রম বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগ পর্যন্ত স্থগিত করে দেন।
রাজ্যসভার কার্যক্রমের অননুমোদিত ভিডিয়ো রেকর্ড করে, তা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করার জন্য গত শুক্রবার কংগ্রেস সাংসদ রজনী পাতিলকে চলতি বাজেট অধিবেশনের পুরো সময়ের জন্য বরখাস্ত করেন জগদীপ ধনখড়। এদিন মল্লিকার্জুন খাড়্গে রাজ্যসভায় তাঁর বক্তব্যে এই বিষয়টি তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের সময় তাঁর বক্তৃতার অংশ জগদীপ ধনখড় বাদ দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে খাড়্গের বক্তৃতায়। দুই ক্ষেত্রেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে পদক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ করেন খাড়্গে।
এরপরই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, “এলওপি একের পর এক শব্দে আপনি ইঙ্গিত করেছেন যে চেয়ার চাপের আওতায় কাজ করছে। এই শব্দগুলি মুছে দেওয়া হচ্ছে। যতবার আপনি বলছেন যে চেয়ার চাপের মুখে কাজ করছে, তত আপনি আপনার সভায় থাকার অধিকার হারাচ্ছেন। ইচ্ছা করে সভার কার্যক্রমে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটা সভা চালনোর পদ্ধতি নয়। আমরা ইতিমধ্য়েই অনেক সময় নষ্ট করেছি। যদি সভার কাজে বারবার এভাবে বাধা দেওয়া হয়, আমি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব।” বিরোধী দলের যে সকল সাংসদ ওয়েলে নেমে এসেছিলেন, তাঁদেরও সতর্ক করেন জগদীপ ধনখড়। ১৩ মার্চ সকাল ১১টা থেকে ফের রাজ্য সবার কার্যক্রম চালু হবে।