Sehgal Hossain: এবার তিহার জেলে ঠাঁই হবে সায়গল হোসেনের, ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ

Sehgal Hossain: গত কয়েকদিন ধরে একটানা সায়গলকে জেরা করেছে ইডি। এবার জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে।

Sehgal Hossain: এবার তিহার জেলে ঠাঁই হবে সায়গল হোসেনের, ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ
সায়গল হোসেন (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Updated on: Nov 04, 2022 | 1:39 PM

নয়া দিল্লি : ইডি হেফাজত শেষে এবার জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট সায়গলের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সায়গলকে। গরু পাচার মামলায় আগেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। আসানসোলের জেলেও ছিলেন তিনি। সম্প্রতি জেরার জন্য তাঁকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। দীর্ঘ জেরার পর এবার জেল হেফাজতে সায়গল। এই মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত এনামুল হকও রয়েছেন তিহার জেলে।

দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল, জেরার পর আসানসোলে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে সায়গলকে। সায়গলের আইনজীবী এদিন নিম্ন আদালতে সেকথাই উল্লেখ করেন। শুনানি শেষে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর সায়গলকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর মাধ্য়মে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিন জামিনের আবেদন জানাননি আইনজীবীরা। তবে, সিবিআই-এর মামলার কথা উল্লেখ করেন তাঁরা। সেই মামলা এখনও চলছে আসানসোল আদালতে। শনিবারই সেই মামলার শুনানি রয়েছে। আইনজীবীরা জানান, সায়গলকে আদালতে হাজির করা প্রয়োজন। কিন্তু, আদালতের নির্দেশ, সায়গলকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে কি না, তা ঠিক  করবে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থা। তাই তাঁকে শনিবার আসানসোলে নিয়ে যাওয়া হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

তদন্তে সায়গলের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পান গোয়েন্দারা। ফ্ল্যাট, বাড়ি, জমি মিলিয়ে যে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একজন কনস্টেবল কী ভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন, তার হদিশ পেতে চান তদন্তকারীরা। আয়ের সঙ্গে সম্পত্তি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলেই মনে দাবি ইডির। এই সম্পত্তির সঙ্গে গরু পাচারের টাকার সম্পর্কের সূত্র খুঁজে বের করতেও মরিয়া কেন্দ্রীয় সংস্থা।

অন্যদিকে, এই মামলায় দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা এবং অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মনীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। শুক্রবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলছে। সব মিলিয়ে জেলবন্দি অনুব্রতর চাপ ক্রমশ বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।