নয়া দিল্লি: আদালত জামিন দেওয়ার পরেও আবেদনকারী ছাড়া পাচ্ছেন না। লেগে যাচ্ছে অনেকটা সময়। তাই সে বিষয়ে স্বতপ্রণোদিত মামলা নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেখানেই জেল কর্তৃপক্ষকে তুলোধনা করল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ। জেল কর্তৃপক্ষকে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, কেন এত দেরি হচ্ছে জামিনপ্রাপ্তকে ছাড়তে? খবর দেরি করে পৌঁছচ্ছে কেন, জেলে কি এখনও পায়রা খবর পৌঁছে দেয়?
পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলির কাছে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে কতগুলি জেলে ইন্টারনেট সংযোগ আছে? আর কবেই বা দ্রুত জামিনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি কাজে লাগাবে সরকার! প্রধান বিচারপতি এনভি রমনের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, দ্রুত প্রত্যেকটি জেলে বৈদ্যুতিন বার্তা গ্রহণের প্রযুক্তি চালু করতে হবে, যাতে জামিনের নির্দেশ দ্রুত পৌঁছে যায়।
পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই ইন্টারনেটের যুগেও দেখে মনে হচ্ছে এখনও জেলগুলি এখনও প্রাচীন আমলের যোগাযোগ পদ্ধতি ব্যবহার করছে। পায়রা দিয়ে বার্তা পৌঁছনর মতো অবস্থা। এই সমস্যা মেটাতে দ্রুত কোর্ট মিত্র, সিনিয়র আইনজীবী দুষ্যন্ত দেব, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে সেক্রেটারি জেনারেলকে পরামর্শ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
৮ জুলাই ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত অপরাধীকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু উত্তর প্রদেশ সরকার নির্দেশ আসার ৪ দিন পরে তাদের জামিন দেয়। জেল কর্তৃপক্ষ জানায়, সার্টিফিকেট পোস্ট অফিস মারফৎ পৌঁছতে দেরি হওয়ায় জামিনে দেরি হয়েছে। এরপরই এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় শীর্ষ আদালত। আরও পড়ুন: ‘আমরা দুঃখিত’, চিত্র সাংবাদিক দানিশের মৃত্যুতে দায় এড়াল তালিবান