দেশ: একুশের বাংলা বিধানসভা ভোট জুড়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখে অহরহ শোনা গিয়েছে ‘খেলা হবে’ (Khela Hobe) স্লোগান। কার্যত এক পায়ে মোদী-শাহের বিজয়রথ থামিয়ে দিয়ে দেশের রাজনীতিতে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। যে স্লোগানকে কিছুদিন আগেই দিবস পালনের মান্যতা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, সেই ‘খেলা হবে’ স্লোগান শোনা গেল সুদূর জম্মু-কাশ্মীরে।
বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে এর আগে বিজেপি শাসিত অসমে শোনা গিয়েছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। এবার জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির (Mehbooba Mufti) গলায় শোনা গেল ‘খেলা হবে’।
সোমবার জম্মু-কাশ্মীরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছিলেন মেহবুবা। অভিযোগ করেন, মন্দিরের শহরকে আজ সুরার শহর বানিয়ে ছেড়েছে বিজেপি (BJ)P)। তার পরই দেশের রাজনীতিতে মোদী বিরোধী সবচেয়ে সক্রিয় মুখ মমতার ‘খেলা হবে’ স্লোগান তোলেন মেহবুবাও।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া প্রসঙ্গে মেহবুবা জানান, “আমাদের দলে অনেক যোগ্য নেতা রয়েছেন। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নাকচ করি না। জম্মু-কাশ্মীর সংবিধান নিয়ে শপথ করেছি। সেসময় জম্মু কাশ্মীর ও ভারতীয় সংবিধান এক ছিল। আমি নির্বাচনে লড়ব না। কিন্তু যে নীতি অনুসরণ করছে বিজেপি, তাতে মানুষ ভয় পাচ্ছে। এখানেও খেলা হবে।”
প্রসঙ্গত, একুশের ভোটের ফল প্রকাশের ঠিক আগে শিবসেনার মুখপাত্র তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউত দলের মুখপত্র ‘সামনা’য় লেখেন, ‘২ মে ফলের পর দিল্লিতেও কিন্তু কম্পন অনুভূত হবে।’ পশ্চিমবঙ্গে একুশের নির্বাচনে ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে হাতিয়ার করে মোদী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন মমতা। সেই সাফল্যের পর তাঁর মুখের জনপ্রিয় স্লোগান যেভাবে মেহবুবার মুখে শোনা গেল তা রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
একুশের বাংলার ভোট শুধু তৃণমূল (TMC) বনাম বিজেপি (BJP) ছিল না। একে বরং মমতা বনাম মোদী-শাহ মহারণ বলা চলে। তাই প্রায় একসঙ্গে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন হলেও সারা দেশের চোখ ছিল বাংলার নির্বাচনের দিকেই। বিজেপির বিরুদ্ধে একা লড়ে ব্যাপক জয় তুলে আনায় জাতীয় রাজনীতিতে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যে মমতার এই স্লোগান নিয়ে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপিয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। সেখানে ‘খেলা হবে’ বদলে হয়েছে ‘খেলা হই’। এই প্রেক্ষিতে মেহবুবা মুফতির কণ্ঠে যে মমতার স্লোগানের অনুরনণ শোনা গেল তা বিশেষ ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আরও পড়ুন: কংগ্রেসে অন্তর্যুদ্ধ, বিরোধী দলনেতার তকমা হারাতে পারেন অধীর!