J&K Encounter: আনা হল IED বিস্ফোরক-রকেট লঞ্চার, জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটি থেকে বের করতে বিশাল অভিযান নিরাপত্তা বাহিনীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 15, 2023 | 3:12 PM

Anti-Terror Operation: ৫০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও অনন্তনাগের এনকাউন্টার অভিযান শেষ হয়নি। গতকালই লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের অবস্থান বোঝা ও চিহ্নিতকরণের জন্য় ড্রোন আনা হয়। এ দিন সকাল থেকো কোকেরনাগ জঙ্গলে আইইডি বিস্ফোরকও ব্য়বহার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

J&K Encounter: আনা হল IED বিস্ফোরক-রকেট লঞ্চার, জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটি থেকে বের করতে বিশাল অভিযান নিরাপত্তা বাহিনীর
আনা হচ্ছে রকেট লঞ্চার।
Image Credit source: Twitter

Follow Us

শ্রীনগর:  টানটান উত্তেজনা, ৫০ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে, এখনও জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে চলছে জঙ্গি দমন অভিযান।  বৃহস্পতিবারই জানা গিয়েছিল, দুই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। শুক্রবার জানা গেল, জঙ্গিদের গোপন ডেরা থেকে বের করতে আইইডি ব্য়বহার করছে নিরাপত্তা বাহিনী। আনা হয়েছে রকেট লঞ্চার। আকাশপথে নজরদারির জন্য ব্য়বহার করছে ড্রোন। ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। এদিকে, আজই সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে আহত এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে অনন্তনাগের এনকাউন্টারে তিন জওয়ান ও এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হল।

মঙ্গলবার গভীর রাতে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ জঙ্গলে অভিযান শুরু করে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। রাতভর জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে নিরাপত্তা বাহিনীর। বুধবার ভোরে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন ১৯তম রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কম্য়ান্ডিং অফিসার কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশীষ ধোনচক ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাট।  সংঘর্ষে আহত হন আরও কয়েকজন জওয়ান। এ দিন সকালে জানা যায়, আহত এক জওয়ানের অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে।

নজরদারির জন্য ওড়ানো হচ্ছে ড্রোনও।

এদিকে, ৫০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও অনন্তনাগের এনকাউন্টার অভিযান শেষ হয়নি। গতকালই লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের অবস্থান বোঝা ও চিহ্নিতকরণের জন্য় ড্রোন আনা হয়। এ দিন সকাল থেকো কোকেরনাগ জঙ্গলে আইইডি বিস্ফোরকও ব্য়বহার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। গোপন ঘাঁটি থেকে জঙ্গিদের বের করার জন্য়ই আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে। আনা হয়েছে রকেট লঞ্চারও। প্রয়োজনে তাও ব্যবহার করা হবে। উল্টোদিক থেকে কোনও গুলি চলছে না বলেই খবর।

সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবা সংগঠনের সদস্য। এদের মধ্যে একজনের নাম উজ্জইর। ওই জঙ্গি পাকিস্তানি নাগরিক বলে মনে করা হচ্ছে। গাদোলের জঙ্গলঘেরা অঞ্চলে উচু জায়গায় লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। সেখান থেকেই সেনাবাহিনীর উপরে হামলা চালাচ্ছে। ড্রোনের মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, জঙ্গিদের গোপন ডেরার কাছে একটি দেহ পড়ে রয়েছে। তবে এই দেহটি কর্নেল মনপ্রীতের নাকি কোনও জঙ্গির, তা জানা যাচ্ছে না। একজন পুলিশ আধিকারিকের খোঁজ মিলছে না বলেও জানা গিয়েছে।  একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে প্রায় ৫০ জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে।

Next Article