গুয়াহাটি: লাগাতার বৃষ্টিতেই ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল প্রতি রাজ্য অসম। বৃষ্টি কমতে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ঠিক হয়েছে। নতুন করে আর জলস্তর বাড়ছে না ব্রহ্মপুত্র সহ বাকি নদীগুলিতে। কিন্তু এক বিপদ কমতেই নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি হল অসমে। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলিতে দেখা দিল জাপানিজ এনসেফালাইটিসের প্রাদুর্ভাব। ইতিমধ্যেই ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এই সংক্রমণে। আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৮২ জন। বন্যা পরিস্থিতির মাঝেই এই সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বর্ষা শুরু হলে প্রায় প্রতি বছরই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় অসমে। আর জমা জলেই বাড়তে থাকে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব। বিগত কয়েক বছর ধরে এই রোগের তালিকায় যোগ হয়েছে জাপানিজ এনসেফালাইটিসের নামও। মে মাস থেকে অক্টোবর অবধি অসমে বহু সংখ্যক মানুষেরই মৃত্যু হয় এই সংক্রামক রোগগুলিতে। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হল না। অসমের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বিগত ৯ দিনে জাপানিজ এনসেফালাইটিসে রাজ্যে কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মশাবাহিত এই রোগে আরও মানুষের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার খবর পেয়েই শনিবার অসমের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখ্যসচিব অবিনাশ জোশী ও জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টর ডঃ এমএস লক্ষ্মীপ্রিয়া ভিডিয়ো কনফারেন্সে জরুরি বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও। আগামী ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে জেলা র্যাপিড রেসপন্স টিম গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের তরফে একটি নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গতবছর জাপানিজ এনসেফালাইটিসে কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই বছরও যাতে একই পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।