পটনা: ক্ষমতায় আসার পর বিহারের আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা অনেকটাই শুধরে দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সেই সময় সরকারের ওপর তাঁর রাশ অনেকটাই বেশি ছিল। তবে ২০২০ সালের নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোটে গিয়ে ভোটে লড়েছিলেন জেডিইউ (JDU)। তবে ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছিল যে, জেডিইউ-বিজেপির জোট ক্ষমতায় এলেও নীতীশ কুমারের দলের আসন সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে পটনাতে গুঞ্জন ছিল, এই জোট সরকারে ভাল নেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কারণ তাঁর দলের আসন সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে প্রতি মুহূর্তে বিজেপির সিদ্ধান্ত মেনে কাজ করা বাড়তি চাপ রয়েছে। এই আবহেই নীতীশের দলের জন্য বড় ধাক্কা লাগল। জেডিইউর রাজ্য সম্পাদক এবং দানাপুর নগর পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যানকে তাঁরই বাড়ির বাইরে গুলি করে খুন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা ৪৭ বছর বয়সী দীপর মেহতাকে গুলি করে হত্যা করেছেন। সোমবার রাতে পটনা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে তাঁর বাড়ির বাইরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক শত্রুতা থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত ১০ টা ১৫ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। সেই সময় ওই জেডিইউ নেতা বাড়ির বাইরে হাঁটছিলেন। তিনি যখন বাড়ির গেট খুলে ভিতরে চলে যাচ্ছিলেন, সেই সময় দুটি বাইকে করে আততায়ীরা এসে ওই নেতার ওপর একদম কাছ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি চালায়। মেহতাকে সঙ্গে সঙ্গে পটনার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরে তাঁর সমর্থকরা ২ ঘণ্টা পটনা-দানাপুর সড়ক অবরোধ করেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় লোকসমতা দল থেকে নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন মেহতা। দানাপুর কেন্দ্রে আরজেডি প্রার্থীর কাছে তিনি হেরে গিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে সেই দল জেডিইউ-র সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। ওই কেন্দ্র থেকে আরজেডি প্রার্থী ঋতলাল যাদব জিতেছিলেন। দানাপুর পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোলা উদ্ধার করা হয়েছে। এই খুনে দামী হাতিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল।” ঘটনার তদন্ত চলছে।