কলকাতা: ইডির সঙ্গেই যখন রাজভবনে গেলেন তখন থেকেই গ্রেফতারির জল্পনাটা আরও তীব্র হয়েছিল। ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়েও জল্পনা আরও তীব্র হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে হেফাজতে নিল ইডি। ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন হেমন্ত। এদিকে আবার সমস্ত জেএমএম বিধায়করাই রাঁচির রাজভবনে পৌঁছে যান। ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন চম্পাই সোরেন। ইতিমধ্যেই সেই নাম সামনে এনেছেন জেএমএম নেতারা। যদিও রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনীতির লড়াইয়ে পেরে না উঠেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে হাতিয়ার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বাংলা থেকে দিল্লি, ঝাড়খণ্ড সবই একই ছবি। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীরা প্রথম যখন একজোট হয়েছিল তখন প্রধান ইস্যু ছিল এই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের বিরোধিতা করা। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, ভারতের বর্তমান রাজনীতির আঙিনায় তথাকথিত প্রতিটা বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোনও না কোনও নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ উঠেছে বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে। এখন হেমন্তকে ইডি হেফাজতে নেওয়ায় ভোটমুখী দেশে বিরোধীরা অক্সিজেন হিসাবে কাজে লাগাতে পারে কি না সেটাই দেখার।
৬০০ কোটি টাকার জমি দুর্নীতি মামলায় জোরকদমে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নাম জড়িয়েছে হেমন্ত সোরেনের। যদিও তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। এমনকী তিনি যে যড়যন্ত্রের শিকার তাও বলেছেন। এদিকে রাত পোহালেই বাজেট। তার আগেই হেমন্তকে ইডি হেফাজতে নেওয়ায় রাজ্য-রাজনীতির আঙিনায় নতুন করে যে ঝড় তুলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।