নয়া দিল্লি: কোটি কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতে গেলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন(Hemant Soren)। রবিবার ইডির সমনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। আজ, সোমবার এই মামলার শুনানি হবে।
আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। ইডি আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁকে তলব করেছে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় জেরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। গত মাসেই হেমন্ত সোরেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, যদি তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা সমন প্রত্যাহার না করা হয়, তবে তিনি আইনি পদক্ষেপ করবেন। এবার সেই পথেই হাঁটলেন সোরেন।
শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া পিটিশনে হেমন্ত সোরেন বলেছেন, “যে সমস্ত বিরোধী নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুসরণ করছে না, তাদেরই ইডির মাধ্যমে নিশানা বানাচ্ছে সরকার। লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে এবং ইন্ডিয়া জোট এনডিএ-র বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে, ততই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সক্রিয়তাও বাড়ছে।”
পিটিশনে আরও বলা হয়, “মামলাকারীর নামে থাকা সম্পত্তি সম্পর্কে পিএমএলএ আইনের অধীনে যে তদন্তে বারংবার সমন পাঠানো হচ্ছে, তার যাবতীয় তথ্য ইডি ও সিবিআই-র কাছে আগেই জমা দেওয়া হয়েছে। একই তথ্য বারবার জানতে চেয়ে সমন পাঠানো হেনস্থা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি ইডির ক্ষমতার সম্পূর্ণ অপব্যবহার।”
উল্লেখ্য, এর আগে গত মাসেও হেমন্ত সোরেনকে তলব করেছিল ইডি। সেই সময় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য আগেই জমা দেওয়া হয়েছে। যদি ইডির কোনও তথ্য জানার প্রয়োজন হয়, তবে ওই নথিগুলি খতিয়ে দেখতে পারে।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাহেবগঞ্জে বেআইনি খনন সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। ইডির দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি তিনি রাজ্যের খনি মন্ত্রীও। সেই সূত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তিনি। ২০২১ সালে তিনি নির্বাচনী বিধি ভেঙে নিজের নামে খনির লিজ আদায় করেছিলেন। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হেমন্ত সোরেন। বরং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ‘আদিবাসী নেতা’কে হেনস্থা ও চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন।