আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাকে তাড়িয়ে বেশ করেছে! তালিবানে মুগ্ধ কংগ্রেস বিধায়ক

TV9 Bangla Digital | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Sep 04, 2021 | 3:07 PM

Congress : এই ধরনের মন্তব্য আদতে কংগ্রেসের তালিবানি মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ বলেও মনে করছেন তিনি। মন্তব্য ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতার।

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাকে তাড়িয়ে বেশ করেছে! তালিবানে মুগ্ধ কংগ্রেস বিধায়ক
ইরফান আনসারি

Follow Us

রাঁচি : আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের তাড়িয়ে বেশ করেছে তালিবান। এর জন্য তাদের বাহবা দেওয়া দরকার। এমনটাই মনে করছেন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারি। শুধু তাই নয়, মার্কিন সেনা নাকি নিরাপত্তার নামে আফগানিস্তানের নাগরিকদের উপর বাড়াবাড়ি রকমের চাপ তৈরি করেছিল বলে মনে করছেন তিনি।

ইরফান আনসারি দু’বার কংগ্রেসের টিকিটে জামতারা থেকে জিতেছেন। শুক্রবার থেকে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এই কথাগুলিই বলেন তিনি। অথচ তালিবানকে বিশ্বের একটি বড় অংশ এখনও জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবেই মনে করে। ভারতও এখনও তালিবান সরকারের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।

তাহলে তিনি কেন হঠাৎ তালিবানে মুগ্ধ হয়ে গেলেন? এক্ষেত্রেও তাঁর সাফ জবাব, “হ্যাঁ, তারা একটি জঙ্গি সংগঠন। কিন্তু যেভাবে মার্কিন সেনাকে তারা আফগানিস্তান থেকে তাড়িয়েছে, তা কোনও বিপ্লবের থেকে কম নয়।”

তালিবান প্রসঙ্গে কংগ্রেস বিধায়কের এ হেন মন্তব্যে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় ঝাড়খণ্ডের রাজনীতির অন্দরমহলে। আর এই সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় বিজেপির চিফ হুইপ বিরঞ্চি নারায়ণ কংগ্রেস বিধায়কের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। এই ধরনের মন্তব্য আদতে কংগ্রেসের তালিবানি মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ বলেও মনে করছেন তিনি।

বিরঞ্চি নারায়ণ জানিয়েছেন, “তিনি (ইরফান আনসারি) এই ভাষায় কথা বলছেন, কারণ এটাই কংগ্রেসের মানসিকতা। তিনি এমন একটি জঙ্গি সংগঠনকে সমর্থন করছেন যারা মহিলা ও সংখ্যালঘুদের উপর নৃশংসতার জন্য কুখ্যাত। আমাদের অনেকের মা, বোনেরা আতঙ্কে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসছেন। আনসারি কি এখানেও সেই একই জিনিস চাইছেন ?”

কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য বিষয়টি থেকে গা ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। তাঁদের কথায় এটি বিধায়কের ব্যক্তিগত মতামত। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে এখনই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলতে চাইছেন না কংগ্রেস নেতারা। ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের সভাপতি রাজেশ ঠাকুর জানিয়েছেন, তিনি বিধায়কের সঙ্গে কথা বলার পরই এই বিষয়ে মন্তব্য করবেন। বলেন, “আমি সংবাদ মাধ্যম থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে এটি তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত মতামত।”

উল্লেখ্য, তালিবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্ট উঠে এসেছিল তালিব যোদ্ধাদের সমর্থনে। কিছু পোস্ট ভারত থেকেও করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ-প্রশাসন সেই সব পোস্টগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাও নিয়েছিল। গ্রেফতারও করা হয়েছে অনেককে।

গতমাসের ১৫ তারিখ আশরাফ গনি আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই ভেঙে পড়ে আফগান সরকার। কাবুলের রাজপথের দখল নেয় তালিবান। মার্কিন সেনা আফগান মুলুক ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানের পরিবেশ আরও খারাপ হয়েছে। মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে সেখানে। এরই মধ্যে কংগ্রেস বিধায়কের এই মন্তব্যে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আরও পড়ুন : প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পাকিস্তানের স্লিপার সেল! বিস্ফোরক দাবি বিজেপির

Next Article