Jharkhand: উদ্ধার মিনি টাকার পাহাড়, রাতভর ইডির জেরা, গ্রেফতার মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব

Jharkhand cash recovered: তল্লাশি অভিযানে ৩৫.২৩ কোটি টাকার বেহিসাবি নগদ উদ্ধার করেছিল ইডি। রাতভর চলে ইডির জেরা। মঙ্গলবার ভোরে সঞ্জীব লাল এবং তাঁর পরিচারক জাহাঙ্গীর আলমকে, রাঁচি থেকে গ্রেফতার করল ইডি।

Jharkhand: উদ্ধার মিনি টাকার পাহাড়, রাতভর ইডির জেরা, গ্রেফতার মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব
উদ্ধার হয়েছে ৩৫ কোটি টাকারও বেশি নগদImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: May 07, 2024 | 8:42 AM

রাঁচি: সোমবার ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লাল এবং তাঁর পরিচারকের বাড়িতে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তল্লাশি অভিযানে সঞ্জীব লালের বাড়ি থেকে ৩৫.২৩ কোটি টাকার বেহিসাবি নগদ উদ্ধার করেছিল ইডি। এরপর, মঙ্গলবার ভোরে সঞ্জীব লাল এবং তাঁর পরিচারক জাহাঙ্গীর আলমকে, রাঁচি থেকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, রাতভর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির কর্তারা। এরপর তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ (PMLA)-তে তাঁদের দুজনকে হেফাজতে নেয় ইডি।

সোমবার রাঁচির এক দুই কামড়ার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। ফ্ল্যাটটি ছিল সঞ্জীব লালের পরিচারক জাহাঙ্গীরের। রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দফতরে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি। এই তদন্তের অংশ হিসেবেই ওই ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিল ইডি। শুধুমাত্র ওই ফ্ল্যাট থেকেই ৩২ কোটির বেশি নগদ উদ্ধার করেছিল ইডি। এছাড়া, আরও কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় আরও ৩ কোটি টাকা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে মোট উদ্ধার করা নগদের পরিমাণ ৩৫.২৩ কোটি টাকা। সোমবার রাতেই উদ্ধার হওয়া এই নগদ, ইস্পাতের ট্রাঙ্কে ভরে ইডি আধিকারিকরা নিয়ে গিয়েছেন।

আলমগীর আলমের ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। আগেই তিনি জানিয়েছেন, তিনি কোনও অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত নন। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত গ্রামোন্নয়ন বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কে রাম। বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ অর্থ নয়ছয় করেছেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ। ২০১৯ সালে, তাঁর এক অধস্তন কর্মীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপরই প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে মামলাটি গ্রহণ করে ইডি। ২০২৩-এর ২১ ফেব্রুয়ারি, বীরেন্দ্র কে রামকে এই তহবিল তছরুপ মামলায় গ্রেফতার করেছিল ইডি। রাঁচি, জামশেদপুর-সহ ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং দিল্লির বেশ কয়েকটি জায়গায় অনুসন্ধান চালানোর পর তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।