ডোডা: জোশীমঠের পর এবার জম্মু-কাশ্মীর! একেবারে জোশীমঠের মতোই এবার ফাটল দেখা দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা জেলার একাধিক বাড়িতে। শুধু ফাটল নয়, ক্রমশ বসে যাচ্ছে এলাকা। যা রীতিমতো এলাকাবাসী থেকে প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তাহলে কি এবার জোশীমঠের মতো অবস্থা হতে চলেছে ভূস্বর্গেরও? এমনই প্রশ্ন ও আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, হিমালয়ের কোলে গড়ে ওঠা জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা জেলার নাই বাস্তি গ্রামের থাতরি এলাকায় কমপক্ষে ২১টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। যার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদের মতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। ইতিমধ্যে বহু মানুষ আশঙ্কায় বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ডোডা প্রশাসন। ইতিমধ্যে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন। এসডিএম আথার আমিন জারগার বলেন, “২১ টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। আশপাশের এলাকায় ক্রমশ বসে যাচ্ছে আজ সকালে ই গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে করা হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, নাইবাস্তি গ্রামের এলাকায় গত বৃহস্পতিবার ভূমিধস নামে তারপরেই কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয় এরপর শনিবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১। যে সমস্ত বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে সেই সমস্ত বাড়ির পরিবারের সদস্যদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি বলেন, “বিপর্যস্ত ১৯টি পরিবারকে আমরা নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করেছি। গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখছি এবং তাঁদের থাকা, খাওয়া সহ সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
গ্রামের একাধিক বাড়িতে ফাটলের খবর পেয়ে রবিবার সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ডেপুটি কমিশনার এবং সিনিয়র সুপারটেনডেন্ট অফ পুলিশ। এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি সব রকম সহায়তা করার ও আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
ডোডা জেলার নাই বাস্তির একাধিক বাড়িতে এভাবে ফাটলের ঘটনা জোশীমঠের বিপর্যয়ের আশঙ্কাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও এই জোশীমঠের জসিমতের বিপর্যয়ের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করতে নারাজ এসডিএম। তাঁর পাল্টা দাবি, “বদ্রিনাথ এবং হেমকুন্দ সাহিব এলাকার অবস্থা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। নাই বস্তির পরিস্থিতিকে জোশীমঠ বিপর্যয়ের সঙ্গে তুলনা করে কটুক্তি করা হয়েছে। ভূমিধসের কারণে আমরা একটা সমস্যা মোকাবিলা করছি। বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং ন্যাশনাল হাইওয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তরফে আধিকারিকরা ইতিমধ্য ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।”