Kalyan Banerjee in Lok Sabha: ‘বাইরে গ্রেফতার করুন, কোনও অসুবিধা নেই…’, লোকসভায় বললেন কল্যাণ
Kalyan Banerjee in Lok Sabha: তিনি বলেন, 'এই সময়কালে ভারতের ১৪০ কোটি মানুষ উজ্জীবিত হয়েছিল। সবাই চাইছিল পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু হঠাৎ করেই দেখি, সংঘর্ষবিরতি। কখনও শুনেছেন ৯০ রান হওয়ার পর কেউ খেলব না বলে সরে যাচ্ছেন?'

নয়াদিল্লি: লোকসভায় অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা। সম্ভবনা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা রাখার। কিন্তু তার পরিবর্তে দেখা গেল শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একদিকে মমতা যখন বীরভূমে ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়ে সফরে গিয়েছেন। সেই সময় সংসদ থেকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে চলা আলোচনায় কল্যাণ ছুঁয়ে গেলেন ‘বাঙালি অস্মিতার’ কথা। তবে গোটাটাই ইঙ্গিতে।
সোমবার বক্তৃতার শুরুতেই কল্যাণ স্মরণ করেন উধমপুরে শহিদ হওয়া বাংলার ঝন্টু আলি শেখের কথা। সাফ বলে দেন, “এই প্রত্যাঘাত ও দেশকে রক্ষার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব সেনারই। এই কৃতিত্ব অন্য কারওর নয়।” এরপরেই ধীরে ধীরে সুর চড়াতে দেখা যায় শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদকে। পহেলগাঁওতে হামলার সময় বিএসএফ, সিআইএসএফ কী করছিল? সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মোদীর দিকেও ‘পাহারাদার’ বলে তোপ দাগতে দেখা যায় তাঁকে। কল্যাণ বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে শুনে আসছি প্রধানমন্ত্রী পাহারাদার। এদিকে দেশের অন্দরে ঢুকে ২৬ জনকে মেরে দিয়ে চলে গেল। বাহ কি পাহারাদার আমার! দয়া করে আর পাহারা দেবেন না।’ এরপরেই ভারত-পাকিস্তান সংঘাতবিরতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘এই সময়কালে ভারতের ১৪০ কোটি মানুষ উজ্জীবিত হয়েছিল। সবাই চাইছিল পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু হঠাৎ করেই দেখি, সংঘর্ষবিরতি। কখনও শুনেছেন ৯০ রান হওয়ার পর কেউ খেলব না বলে সরে যাচ্ছেন?’
তাঁর সংযোজন, ‘আমরা তখন জানি না কী হচ্ছে? ডোনাল্ড ট্রাম্প দেখি, নিজের সমাজমাধ্যমে পোস্ট করছেন। এর চেয়ে লজ্জার আর কী? আমেরিকার রাষ্ট্রপতি আমাদের দেশের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।’ এরপরেই সুকান্ত ভট্টাচার্যের বোধন কবিতার চর্চিত অংশ তুলে কল্যাণ বলেন, ‘ওই সময় সরকারের উদ্য়মটাও এরকম থাকা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সকলের মনে ইচ্ছাকে আপনি স্তব্ধ করে দিলেন। আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী মোদী) উত্তর দিতে হবে। আমি বাঙালি, বাংলা ভাষা বলব, বাইরে না হয় গ্রেফতার করুন, কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ, নজরুল আমার বুকে রয়েছে।’

