নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে আজ নজরে কামদুনি মামলা। বিচারপতি বি আর গাভাই এবং প্রশান্ত কুমার মিশ্রার বেঞ্চে হবে শুনানি। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি পিটিশন ফাইল করেছেন কামদুনি প্রতিবাদীরাও। গত সপ্তাহের শুনানিতে সব পক্ষকে নোটিশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সাত দিনের মধ্যে প্রত্যেকের হলফনামা তলব করা হয়।
কামদুনি-কাণ্ডে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড মকুব নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কামদুনি-কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি রদ হয়। এতেই কার্যত হতাশ হয়ে পড়েন কামদুনি-কাণ্ডের প্রতিবাদী মুখ হিসাবে পরিচিত মৌসুমি কয়াল এবং টুম্পা কয়াল। শুধু প্রতিবাদীরাই নয়, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্যও।
তবে দিল্লিতে আসার পর মৌসুমি-টুম্পারা আইনজীবী বাসবী স্বরাজের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতার কারণে কামদুনির ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের ফাঁসির সাজা রদ হচ্ছে। সেই কারণে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। ফলত, একদিকে পুলিশি ব্যর্থতা অপরদিকে নিরাপত্তাহীনতা এই দুই ইস্যুকে সামনে রেখে পিটিশন ফাইল করেন প্রতিবাদীরা। আজ সুপ্রিম কোর্টে সেই বিষয়ে শুনানি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে কামদুনির ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অভিযুক্তদের তরফে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে দোষী সাব্যস্ত করা হয় সইফুল আলি এবং আনসার আলিকে। আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলিকে বেকসুর খালাস করা হয়। ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করের সাজা লঘু হয়। তাদের নিম্ন আদালত আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। যেহেতু তাদের ১০ বছর সাজা হয়ে গিয়েছিল, তাদের সাজা মকুব করে ডিভিশন বেঞ্চ।