নয়া দিল্লি: ঘণ্টা খানেকের সদস্য! সম্প্রীতি গেরুয়া শিবিরে ইতিহাসে নজিরবিহীন। বুধবার বিজেপিতে (BJP) ঘটা করে যোগদান করানো হয় কপিল গুর্জরকে। যাঁর বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। গুর্জরের যোগদানে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়, পরক্ষণেই তাঁকে বহিষ্কার করে বিজেপি।
চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছিলেন কপিল গুর্জর। সেই বন্দুকবাজকেই দলে নেয় বিজেপি। উত্তর প্রদেশের গাজীপুরে ঘটা করে তাঁর গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির জেলা সংগঠক সঞ্জীব শর্মা। কিন্তু চরম বিতর্কের মুখে অবশেষে গুর্জরকে দল থেকে তাড়াতে বাধ্য হল পদ্মশিবির।
गाज़ियाबाद: शाहीन बाग में CAA के खिलाफ विरोध प्रदर्शन के दौरान गोली चलाने वाले कपिल गुर्जर भाजपा में शामिल हुए। pic.twitter.com/WH0wyVRGW9
— ANI_HindiNews (@AHindinews) December 30, 2020
শাহিনবাগে বন্দুক উঁচিয়ে হামলার পরে সংবাদপত্রে শিরোনামে এসেছিলেন কপিল গুর্জর। তখন কপিলকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। পরে জামিনে ছাড়া পায় দিল্লির ডাল্লুপরের এই তরুণ। তখন কপিলের সঙ্গে উঠেছিল আম আদমি পার্টির সংযোগের কথা। কিন্তু সেই দাবি ধোপে টিকতে দেননি কেজরীবালরা। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন গুর্জর। তখন জেলা সংগঠক সঞ্জীব শর্মা জানিয়েছিলেন, শতাধিক সমর্থক নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন গুর্জর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও যোগী আদিত্যনাথের কাজে উদ্বুদ্ধ হয়েই দলে যোগ দিচ্ছে তাঁরা।
এমন ছবিও প্রকাশ্যে আসে যেখানে মিষ্টিমুখ করিয়ে দলে নেওয়া হচ্ছে শাহিনবাগের বন্দুকবাজকে। অনুষ্ঠানে কপিল বলেন, “আমরা বিজেপি। আমরা হিন্দুত্বকে শক্ত করছি এবং এটা আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।” তিনি এ-ও জানান, তিনি আরএসএসের অংশ তবে এর আগে তাঁর কোনও দলের সঙ্গে সংযোগ ছিল না। তারপরই বিজেপির নিন্দায় সরব হয় ওয়াকিবহাল মহল। কার্যত চাপে পড়েই কয়েক ঘন্টা পরে সঞ্জীব শর্মা জানান, বিএসপির কয়েকজন বিজেপিতে যোগদান করেন। তার মধ্যে কপিল গুর্জরও ছিলেন। তাঁর শাহিনবাগের বিষয়ে তারা আবগত ছিলেন না। এরপরই কপিলের বিজেপির সদস্যপদ বাতিল করা হয়।