পটনা: জোটসঙ্গীই দল ভাঙানোয় এমনিতেই বিজেপি(BJP)-র উপর ক্ষেপে রয়েছে জনতা দল ইউনাইটেড (JDU)। সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার (Nitish Kumar)-কে মহাগঠবন্ধনে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিল প্রতিপক্ষ আরজেডি (RJD)। তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)-কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দিলে নীতিশকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হবে বলেও জানায় আরজেডি।
অরুণাচল প্রদেশে জেডিইউ(JDU)-র সাতজন বিধায়কের মধ্যে ছয়জন বিধায়কই বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বিহারের রাজনীতির হাওয়া গরম। নির্বাচন চলাকালীনই একপ্রকার কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার (Nitish Kumar)। এরইমধ্যে ছয় বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কার্যত ক্ষুব্ধ জেডিইউ নেতৃত্ব।
এমতাবস্থায় মহাগঠবন্ধনে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আরজেডি নেতা উদয় নারায়ণ চৌধুরি (Uday Narayan Choudhury) বলেন, “আরজেডি আগে একবার নীতিশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিল। এখন ওনার উচিত, নিজের বড় মনের প্রমাণ দিতে তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী হতে দেওয়া। ওনার এখন দিল্লিকেই লক্ষ্য বানিয়ে বিরোধী দলের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।”
আরও পড়ুন: কৃষি আইনের ভাগ্য নির্ধারণে শুরু বৈঠক, নববর্ষে কৃষকদের বাড়ি পাঠাতে চায় কেন্দ্র
তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী হতে দিলে নীতিশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী করার প্রস্তাবও দেন তিনি। বিজেপিকে আক্রমণ করে উদয় নারায়ণ বলেন, “বিজেপি হল সেই বড় মাছটির মতো যে ছোট মাছগুলিকে গিলে খায়। এই কারণেই শিবসেনা তাঁদের সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছে। এমনকি আকালি দলও কৃষি আইন নিয়ে মতপার্থ্যকের কারণে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে এসেছে। এখন জেডিইউ-র পালা।”
আরজেডি একা নয়, গতকাল কংগ্রেসের তরফ থেকেও নীতিশ কুমারকে একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপির তরফে রাজ্য মুখপাত্র নিখিল আনন্দ (Nikhil anand) বলেন, “ওনারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। বিজেপি-আরজেডি জোটের বিষয়ে না ভেবে ওনাদের আগে উচিত কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করা। তাদের নিজের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবা উচিত, যা ইতিমধ্যেই হারিয়ে গিয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করে বলেন, “শিবানন্দ তিওয়ারি, আবদুল বারি সিদ্দিকি, উদয় নারায়ণ চৌধুরির মতো নেতারা নিজের দলেই প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। তাই এখন তেজস্বীকে লোভ দেখাচ্ছে এইসব মন্তব্য করে।”
আরও পড়ুন: একটি বা দু’টি নয়, দেশে মিলল ১৯ ধরনের নতুন স্ট্রেনের খোঁজ, একটি আবার ‘বিপজ্জনক’!