নয়া দিল্লি : সম্প্রতি টুইটার সংস্থাকে একটি নোটিস পাঠিয়ে নির্দিষ্ট কিছু টুইট ও অ্য়াকাউন্ট বাতিল করার নির্দেশ জানিয়েছিল। কেন্দ্রের সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্নাটক হাই কোর্টে আবেদন করা হয় টুইটারের তরফে। এবার সেই আবেদেনর ভিত্তিতেই কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল কর্নাটক হাই কোর্ট।
গত ৮ জুলাই টুইটার আদালতে জানিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স অ্য়ান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির তরফে টুইটারকে ২০২১ এর ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ এর ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১,৪০০ টি অ্য়াকাউন্ট বাতিল করা ও ১৭৫ টি পোস্ট মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। টুইটারের তরফে আদালতে করা আবেদনে ৩৯ টি অ্যাকাউন্ট বাতিল করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার শুনানিতে টুইটারের তরফের বর্ষীয়ান আইনজীবী মুকুল রোহাতগি আদালতে জানিয়েছেন, নোটিসে টুইটার অ্য়াকাউন্ট ব্লক করার কোনও নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি সরকার। তিনি জানিয়েছেন, ‘কোনও ব্যবহারকারীর টুইটার অ্য়াকাউন্ট ব্লক করার ক্ষেত্রে আমরা তাঁদের নির্দিষ্ট কারণ দেখাতে বাধ্য।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘যদি এরকম চলতে থাকে তাহলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।’
তবে সরকারের তরফের আইনজীবী আদালতের কাছে এই শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। জানানো হয়েছে, শুনানির সময় উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে থাকতে পারছেন না সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ অগস্ট করা হয়েছে। পরবর্তী শুনানির সময় টুইটারকে সমস্ত রেকর্ড বদ্ধ অবস্থায় সরকারের তরফে আইনজীবীকে দিতে বলা হয়েছে। এদিকে কোর্টে করা আবেদনে টুইটার জানিয়েছে, কেন্দ্রের মন্ত্রকের তরফে বারবার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এবং সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টের নির্দিষ্ট কোনও টুইটের বিষয়ে না জানিয়ে সেই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে বলে হয়েছে। টুইটার জানিয়েছে, ‘এর মধ্যে কিছু টুইটে রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতা সম্পর্কিত বিষয়বস্তু রয়েছে। সে ধরনের তথ্য ব্লক করে দেওয়ার অর্থ এই প্ল্যাটফর্মে ব্য়বহারকারীদের দেওয়া বাক স্বাধীনতা হনন করা।’