BV Nagarathna: ‘ছেলে ততক্ষণই আপন, যতক্ষণ বউমা না আসে…’ কেন এ কথা বললেন বিচারপতি বিভি নাগারত্ন?

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jan 07, 2024 | 11:36 AM

Woman Equality: কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যে বিদ্বেষের শিকার হতে হয়, সে প্রসঙ্গ তু্লেও বিচারপতি বিভি নাগারত্ন বলেন, "কোনও মহিলা গর্ভবতী কি না, তা জানার জন্য শেষ কবে তিনি ঋতুমতী হয়েছেন, তা জানতে চাওয়া হয়। বেসরকারি সংস্থা কর্মরত মহিলা মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে এসে দেখেন, তাঁর জায়গায় অন্য কেউ কাজ করছেন। এগুলো হতে দেওয়া যায় না।"

BV Nagarathna: ছেলে ততক্ষণই আপন, যতক্ষণ বউমা না আসে... কেন এ কথা বললেন বিচারপতি বিভি নাগারত্ন?
কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিভি নাগারত্ন।
Image Credit source: Facebook

Follow Us

নয়া দিল্লি: সবকিছু ঠিক থাকলে তিনিই হবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য ঘিরেই শোরগোল। নারী ক্ষমতায়ন ও বিচারব্যবস্থায় আরও মহিলা প্রতিনিধিত্বে পক্ষে সওয়াল করে বিচারপতি বিভি নাগারত্ন (BV Nagarathna) বলেন, “ছেলে ততক্ষণই আপন থাকে, যতক্ষণ পুত্রবধূ না আসে, কিন্তু মেয়ে আজীবন মেয়েই থাকে।

শুক্রবার নয়া দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানসভায় যোগ দিয়েছিলেন কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিভি নাগারত্ন। লিগ্ন সমতা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, দেশের বিচারব্যবস্থায় আরও মহিলা প্রতিনিধিত্বের প্রয়োজন। তিনি বলেন, “রাজ্য়ের বিচার প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও প্রকার ভেদাভেদ না থাকে, তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আদালত। এত কিছুর পরও আমরা মহিলাদের নতুন পরিচিতি বা প্রতিনিধিত্ব দেখতে পাচ্ছি না।”

এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই বিচারপতি বলেন, “ছেলে ততদিনই আপনার ছেলে থাকে, যতদিন পুত্রবধূ আসে না, কিন্তু মেয়ে আজীবন আপনারই মেয়ে থাকে”। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যে বিদ্বেষের শিকার হতে হয়, সে প্রসঙ্গ তু্লেও বিচারপতি বিভি নাগারত্ন বলেন, “কোনও মহিলা গর্ভবতী কি না, তা জানার জন্য শেষ কবে তিনি ঋতুমতী হয়েছেন, তা জানতে চাওয়া হয়। বেসরকারি সংস্থা কর্মরত মহিলা মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে এসে দেখেন, তাঁর জায়গায় অন্য কেউ কাজ করছেন। এগুলো হতে দেওয়া যায় না।”

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বিবাহ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “বিয়ে প্রতিষ্ঠানটাকে বাঁচিয়ে রাখা খুব জরুরি। নারী ও পুরুষ-উভয়কেই বুঝতে হবে বৈবাহিক সম্পর্কে তারা দুইজনই গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। যেভাবে গার্হস্থ্য হিংসা ও অবিশ্বাস বাড়ছে, সেখানে বিয়ের উপরে ভরসার প্রয়োজন। পুরুষদের সবজান্তা ভাব ছাড়তে হবে। পরিবার ও বিবাহের প্রতিষ্ঠান খুশির উপরে ভিত্তি করে তৈরি হওয়া উচিত। পরিবারে যদি মহিলার একক পরিচিতি মুছে দেওয়া হয়, তা এক সময়ে গিয়ে বিয়ের সম্পর্কে ভাঙন ধরায়। প্রতিটি সফল ব্যক্তির পিছনে তাঁর পরিবারের অবদান থাকে।”

তিনি আরও বলেন, “সময় এসেছে পুরুষদের এটা বোঝার যে শিক্ষাগত ও আর্থিক স্বাধীনতা মহিলাদের ক্ষমতায়নের অংশ। ক্ষমতায়নের অর্থ এই নয় যে মহিলাদের পুরুষদের থেকে বেশি ক্ষমতা দিতে হবে বা একে অন্যকে খাটো চোখে দেখতে হবে। সফল বিবাহের জন্য একে অপরকে সম্মান দেওয়া প্রয়োজন।”

প্রসঙ্গত, আগামী ২০২৭ সালে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি হতে পারেন বিভি নাগারত্ন। তিনিই সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হবেন।

Next Article