বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে হিজাব নিষিদ্ধ (Karnataka Hijab Ban) করা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। মুসলিম পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। শুক্রবার কর্নাটক হাইকোর্ট হিজাব নিষিদ্ধ করাকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা হয়েছিল তার অন্তর্বর্তী নির্দেশ তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। হিজাব বিতর্ককে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় তিন দিনের জন্য স্কুল কলেজ সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এদিনের নির্দেশে আদালতের তরফে রাজ্য সরকারগুলিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, শুনানি চলাকালীন সর্বধর্মের পড়ুয়াদেরকে কোনও রকমের ধর্মীয় পোশাক পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে নিষেধ করেছে। আদালত জানিয়েছে, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট করে দেওয়া পোশাক রয়েছে, সেখানে কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ পোশাক নিয়ে বিতর্কের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকলে আদতে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার ক্ষতি হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলে দেওয়ার পক্ষে আদালত।
আদালতে দাখিল করা পিটিশনের পরবর্তী শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ২.৩০ মিনিটে হবে বলেই জানিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই নির্দেশ সামনে আসার পর থেকে বেশ কিছু আবেদনকারী আদালতের অন্তর্বর্তী নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন। তাদের দাবি, ধর্মাচারণ সংবিধান প্রদত্ত অধিকার, সেখানে কোনও বিধিনিষেধ থাকতে পারে না। সিনিয়র আইনজীবী দেবদত্ত কামাত জানিয়েছেন জরুরি ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য তারা দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা-র কাছে আবেদন করবেন। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট “উপযুক্ত সময়ে” বিষয়টি বিবেচনা করবে কারণ হাইকোর্ট ইতিমধ্যে মামলাটি খারিজ করেছে।
অন্যদিকে, কর্নাটকে ছাত্র সংগঠনের তরফে এই মামলার জরুরি শুনানির আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে এই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং জানানো হয় যে, সঠিক সময়েই আদালতের তরফে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হবে। কর্নাটকের এক ছাত্রী সুপ্রিম কোর্টে জরুরিভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন। ওই ছাত্রীর পিটিশন খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, “দয়া করে জাতীয় স্তরে এই বিষয়গুলিকে ছড়িয়ে দেবেন না। সঠিক সময় এলেই, একমাত্র আমরা হস্তক্ষেপ করব।” এক আইনজীবী জানান, এই বিষয়টির প্রভাব অনেক দূর অবধি রয়েছে। পড়ুয়ারা ১০ বছর ধরে হিজাব পরে আসছেন। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, “দয়া করে এটাকে আরও বৃহত্তর স্তরে ছড়িয়ে দেবেন না। আমরা জানি কী হচ্ছে। আপনারাই ভাবুন, এই ধরনের বিষয়কে কি দিল্লিতে টেনে আনা উচিত? যদি কোনও অনুচিত বিষয় হয়, তবে আমরা সুরক্ষা দেব….”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে হিজাব নিষিদ্ধ (Karnataka Hijab Ban) করা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। মুসলিম পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। শুক্রবার কর্নাটক হাইকোর্ট হিজাব নিষিদ্ধ করাকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা হয়েছিল তার অন্তর্বর্তী নির্দেশ তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। হিজাব বিতর্ককে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় তিন দিনের জন্য স্কুল কলেজ সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এদিনের নির্দেশে আদালতের তরফে রাজ্য সরকারগুলিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, শুনানি চলাকালীন সর্বধর্মের পড়ুয়াদেরকে কোনও রকমের ধর্মীয় পোশাক পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে নিষেধ করেছে। আদালত জানিয়েছে, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট করে দেওয়া পোশাক রয়েছে, সেখানে কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ পোশাক নিয়ে বিতর্কের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকলে আদতে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার ক্ষতি হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলে দেওয়ার পক্ষে আদালত।
আদালতে দাখিল করা পিটিশনের পরবর্তী শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ২.৩০ মিনিটে হবে বলেই জানিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই নির্দেশ সামনে আসার পর থেকে বেশ কিছু আবেদনকারী আদালতের অন্তর্বর্তী নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন। তাদের দাবি, ধর্মাচারণ সংবিধান প্রদত্ত অধিকার, সেখানে কোনও বিধিনিষেধ থাকতে পারে না। সিনিয়র আইনজীবী দেবদত্ত কামাত জানিয়েছেন জরুরি ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য তারা দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা-র কাছে আবেদন করবেন। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট “উপযুক্ত সময়ে” বিষয়টি বিবেচনা করবে কারণ হাইকোর্ট ইতিমধ্যে মামলাটি খারিজ করেছে।
অন্যদিকে, কর্নাটকে ছাত্র সংগঠনের তরফে এই মামলার জরুরি শুনানির আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে এই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং জানানো হয় যে, সঠিক সময়েই আদালতের তরফে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হবে। কর্নাটকের এক ছাত্রী সুপ্রিম কোর্টে জরুরিভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন। ওই ছাত্রীর পিটিশন খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, “দয়া করে জাতীয় স্তরে এই বিষয়গুলিকে ছড়িয়ে দেবেন না। সঠিক সময় এলেই, একমাত্র আমরা হস্তক্ষেপ করব।” এক আইনজীবী জানান, এই বিষয়টির প্রভাব অনেক দূর অবধি রয়েছে। পড়ুয়ারা ১০ বছর ধরে হিজাব পরে আসছেন। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, “দয়া করে এটাকে আরও বৃহত্তর স্তরে ছড়িয়ে দেবেন না। আমরা জানি কী হচ্ছে। আপনারাই ভাবুন, এই ধরনের বিষয়কে কি দিল্লিতে টেনে আনা উচিত? যদি কোনও অনুচিত বিষয় হয়, তবে আমরা সুরক্ষা দেব….”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা