গাজিয়াবাদ: মাস পার করেও কর্নাটকে থামছে না হিজাব বিতর্ক। এদিকে, রাজ্যের গণ্ডি পার করে অন্যান্য রাজ্যেও ধীরে ধীরে সেই বিতর্কের আঁচ ছড়িয়ে পড়ছে। গত জানুয়ারি মাসে কর্নাটকের উদুপিতে একটি সরকারি কলেজে হিজাব পরিহিত পাঁচ ছাত্রীকে বাধা দেওয়া হয়। এরপরই বিতর্কের সূত্রপাত। ধীরে ধীরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ও অন্যান্য রাজ্যেও সেই বিতর্ক পৌঁছে গিয়েছে। গত সপ্তাহেই মধ্য প্রদেশেও এক ছাত্রী হিজাব পরে আসায় তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। বিতর্ক শুরু হয় রাজ্যের স্কুল শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যেও। এবার উত্তর প্রদেশেও হিজাব বিতর্ক শুরু হল। হিজাব বিতর্ক নিয়ে গাজিয়াবাদে প্রতিবাদ প্রদর্শন করায় এক মহিলাকে লাঠি দিয়ে মারধর করতে দেখা গেল পুলিশকে।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভািরাল হয়েচে সেই ভিডিয়ো। উঠেছে সমালোচনার ঝড়ও। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, তারা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। বিক্ষোভকারীরাও পুলিশের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করেছে। জানা গিয়েছে, গত রবিবার উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
UP Ghaziabad Police have booked a group of women's who are peacefully Protesting to assert their right to wear the Hijab according to article 15. Look at this cops how they are beating to women's when they are chanting "We Want Justice" they are not chanting "Goli Maro Salo Ko" pic.twitter.com/7j17BwD7n0
— Mohd Fasiuddin (@MohdFasiuddin10) February 16, 2022
এফআইআরে বলা হয়েছে, গাজিয়াবাদের সানি বাজার রোডে প্রায় জনা ১৫ মুসলিম মহিলা বিনা অনুমতিতেই জমায়েত করে এবং হিজাব বিতর্ক নিয়ে সরকার বিরোধী বিভিন্ন পোস্টার দেখাতে থাকেন। ঘটনাস্খলে পুলিশ পৌঁছলে ওই মহিলারা স্লোগান দিতে থাকে। এরপরই পুলিশ কনেসটেবলরা তাদের সরাতে যান, শুরু হয় টানাটানি, ধস্তাধস্তি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেশ কয়েকজন ব্যক্তিও পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন, তাদের গালিগালাজ করেন। পুলিশের দাবি, ওই বিক্ষোভকারী মহিলাদের সঙ্গে উপস্থিত ওই ব্যক্তিরা পুলিশকে হুমকি-শাসানিও দেয়। এরপরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পুলিশকর্মীরা শক্তি প্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানেই একজন বুরখা পরিহিত মহিলা এক কন্সটেবলকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপরই ওই পুলিশকর্মী বুরখা পরিহিত বিক্ষোভকারী মহিলাকে লাঠিপেটা করেন।
গাজিয়াবাদের ইন্দরপুরম পুলিশ স্টেশনের এক আধিকারিক বলেন, “গোটা ঘটনাটি রবিবার ঘটেছে। আমাদের একটি দল পেট্রোলিংয়ে বেরিয়েছিল, সেই সময়ই ১০-১৫ জন মহিলারা পথ আটকে বিক্ষোভ দেখানোর খবর মেলে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে এবং বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়।”
বিতর্কের মাঝেই খুলেছে কর্নাটকের স্কুল কলেজ, হাইকোর্টে চলছে শুনানিও। বুধবার ছিল মামলার শুনানির চতুর্থ দিন। কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতু রাজ অবস্তি, বিচারপতি কৃষ্ণা এস দীক্ষিত ও বিচারপতি জেএম গাজির বেঞ্চে চলছে এই শুনানি। গতকালও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অনুমতি চেয়ে নানা উদাহরণ তুলে ধরেন মামলাকারীদের আইনজীবী।