Indian Railways: ১৩ ঘণ্টা ট্রেন লেট, এক যাত্রীকে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে রেল

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Oct 28, 2023 | 10:39 AM

Consumer Court: কেরলের এরনাকুলাম থেকে চেন্নাই যাওয়ার জন্য ২২৬৪০ আলাপুজ্জা-চেন্নাই এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন যুবক, কিন্তু ট্রেন ১৩ ঘণ্টা দেরি করে আসায় তিনি অফিসের মিটিংয়ে যোগ দিতে পারেননি। ওই ট্রেনে একাধিক নিট পরীক্ষার্থীও ছিল, তারাও পরীক্ষায় বসতে পারেননি বলে অভিযোগ।

Indian Railways: ১৩ ঘণ্টা ট্রেন লেট, এক যাত্রীকে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে রেল
ফাইল চিত্র
Image Credit source: Twitter

Follow Us

তিরুবনন্তপুরম: স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে, হঠাৎ মোবাইলে মেসেজ এল, “ট্রেন আসতে দেরি হবে”। কতই বা আর দেরি হতে পারে, একঘণ্টা-দু’ঘণ্টা বা টেনেটুনে পাঁচ-ছ’ঘণ্টা। ট্রেনের অপেক্ষাতেই বসে ছিলেন স্টেশনে। অবশেষে ট্রেন এল, তবে ১৩ ঘণ্টা দেরিতে। ট্রেন প্রায় এক বেলা দেরিতে আসায় চরম হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয় যাত্রীদের। ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হতেই ভারতীয় রেলওয়েকে ৬০,০০০ টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিল আদালত।

সম্প্রতিই কেরলের এরনাকুলাম জেলা কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিশনের তরফে ভারতীয় রেলওয়েকে জরিমানা করা হয়। অভিযোগকারী কার্তিক মোহনকে ওই ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে বলা হয়। ট্রেন ১৩ ঘণ্টা লেট করায় যাত্রীকে যে অসুবিধা, মানসিক যন্ত্রণা ও আর্থিক কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে, তার কারণেই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, কার্তিক মোহন নামক ওই যুবক চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তিনি কেরলের এরনাকুলাম থেকে চেন্নাই যাওয়ার জন্য ২২৬৪০ আলাপুজ্জা-চেন্নাই এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন। চেন্নাইয়ে অফিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ওই যুবকের, কিন্তু ট্রেন ১৩ ঘণ্টা দেরি করে আসায় তিনি মিটিংয়ে যোগ দিতে পারেননি। ওই ট্রেনে একাধিক নিট পরীক্ষার্থীও ছিল, তারাও পরীক্ষায় বসতে পারেননি বলে অভিযোগ।

ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে ওই যুবক হেনস্থার অভিযোগ জানান। ভারতীয় রেলওয়ের কাছে ট্রেন দেরিতে আসার কারণ জানতে চাওয়া হলে, রেলের তরফে জানানো হয়, চেন্নাই ডিভিশনের আরাক্কানমে রেললাইন সংস্কারের কাজ হওয়ার কারণে দেরি হয়েছিল। ট্রেন লেটের বিষয়টি সমস্ত যাত্রীদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল এবং বিকল্প পরিবহনের  পরামর্শও দেওয়া হয়। একইসঙ্গে যাত্রীদের টিকিটের সম্পূর্ণ রিফান্ডও দেওয়া হয়েছিল।

দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালতের তরফে বলা হয়, “যাত্রীর সময়ের গুরুত্ব কখনওই অবহেলা করা যায় না। অপ্রত্যাশিত এই দেরির কারণে যাত্রীদের নানা সমস্যা ও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। অভিযোগকারীও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ পেশাদার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি। টিকিট বুকিংয়ের সময় যাত্রার গুরুত্ব উল্লেখ না করা থাকলেও, রেলওয়ে সময়ানুবর্তিতা ও কার্যকর পরিষেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

Next Article