নয়ডা: নৃশংস, অমানবিক-এই শব্দগুলিও হয়তো কম পড়ে। মানুষ তো ছাড়, লালসার হাত থেকে রক্ষা পেল না পথকুকুরও। এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মহিলা পথকুকুরকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। তবে এই নৃশংস ও ঘৃণ্য কাজেই ওই ব্যক্তি থেমে থাকেননি। ধর্ষণের পর পথকুকুরটিকে তিন তলা থেকে ফেলে দেন তিনি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গ্রেটার নয়ডায়। অভিযুক্ত ব্যক্তি সোনবীর আদতে মথুরার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে গ্রেটার নয়ডায় থাকতেন তিনি। জানা গিয়েছে, গত বুধবার রাতে রাস্তা থেকে এক পথকুকুরকে বাড়ি নিয়ে যান অভিযুক্ত। ঘরের মধ্যেই বেঁধে রাখেন কুকুরটিকে। পরে গভীর রাতে ধর্ষণ করেন কুকুরটিকে।
মাঝরাতে একটানা কুকুরের চিৎকার ও কান্না শুনে ঘুম ভেঙে যায় উল্টোদিকের একটি ফ্ল্যাটে থাকা দম্পত্তির। বারান্দায় এসে উকিঝুঁকি মারতেই তাঁরা দেখতে পান ওই ব্যক্তির ঘৃণ্য কাজ। তাঁরা চিৎকার করতেই লোকজন জড়ো হয়ে যায়। ভিড় দেখে থতমত খেয়ে যান অভিযুক্ত। এরপরে তিনি কুকুরটিকে নিয়ে তৃতীয় তলের ছাদে নিয়ে যান। সেখান থেকেই ছুঁড়ে ফেলে দেন কুকুরটিকে।
ওই ব্যক্তির এমন অমানবিক আচরণে স্তম্ভিত হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে পশুর উপর নৃশংসতা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ওই পথকুকুরটি গুরুতর আহত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। শরীরে একাধিক ক্ষত রয়েছে তার। বর্তমানে পশু হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে কুকুরটির।