কার্যকারিতা নাকি ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা? কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ়ের ব্যবধান নিয়ে প্রশ্ন কেন্দ্রকে

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 25, 2021 | 4:53 PM

আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়, টিকা ঘাটতি মেটানোর জন্যই কী এই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে? যদি কার্যকারিতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না থাকে, তবে কিটেক্সের মতো সংস্থাকে ৮৪ দিনের আগেই ভ্যাকসিন দিতে দেওয়া হোক।

কার্যকারিতা নাকি ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা? কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ়ের ব্যবধান নিয়ে প্রশ্ন কেন্দ্রকে
ফাইল ছবি

Follow Us

তিরুবনন্তপুরম: কার্যকারিতা নাকি ঘাটতির মেটানোর চেষ্টা? কোভিশিল্ড(Covishield)-র দুটি জোজ়ের মধ্যে ৮৪ দিনের ফারাক রাখার আসল কারণ জানতে চাইল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। মঙ্গলবার কেন্দ্রের (Centre) কাছে সেরাম ইন্সটিটিউটের (Serum Institute of India)  তৈরি করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ়ের মধ্যে ৮৪ দিন ফারাক রাখার কারণ জানতে চাওয়া হয়।

কিটেক্স গারমেন্টস লিমিটেড  (Kitex Garments Limited) নামত একটি সংস্থার তরফে তাদের কর্মীদের দ্বিতীয় ডোজ়ের ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করা হয় কেরল হাইকোর্টে। সংস্থার তরফে জানানো হয় তাদের ৫ হাজার কর্মীকে প্রথম ডোজ়ের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দ্বিতীয় ডোজ়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে কিন্তু ৮৪ দিন পূরণ না হওয়ায় ভ্যাকসিন দেওয়া যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি পিবি সুরেশ কুমার কেন্দ্রের কাছে  জানতে চান, হঠাৎ ৪ সপ্তাহের ব্যবধান কেন বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করে দেওয়া হল। একইসঙ্গে তিনি জানতে চান, দুটি ডোজ়ের মধ্যে ৮৪ দিনের ফারাক রাখার সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকরী। বিচারপতি নিজে চার সপ্তাহের ব্যবধানে ভ্যাকসিন নেওয়ায় তিনি উদ্বিগ্ন বলে জানান।

আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়, টিকা ঘাটতি মেটানোর জন্যই কী এই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে? যদি কার্যকারিতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না থাকে, তবে কিটেক্সের মতো সংস্থাকে ৮৪ দিনের আগেই ভ্যাকসিন দিতে দেওয়া হোক। যদি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার জন্য় দুটি ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানো হয়, তবে আদালতে যেন তার বেৈজ্ঞানিক গবেষণার রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়।

সরকারি পক্ষের আইনজীবী জবাব দেওয়ার জন্য কিছু সময় চাওয়ায়, আগামী ২৬ অগস্ট এই মামলার ফের শুনানি হবে। এর আগে গত ১২ অগস্টও আদালতের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ৮৪ দিন বাদেই দ্বিতীয় ডোজ়ের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে কেন। সেই সময়ও কেন্দ্রের কাছে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ের মধ্যে মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। মঙ্গলবার কেরল সরকারের তরফে জানানো হয়, তারা কেন্দ্রের নির্দেশ অনুসরণ করেই টিকাকরণ করছে। এতে রাজ্যের কোনও ভূমিকা নেই।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে গণটিকাকরণের শুরু হওয়ার পর কোভ্যাক্সিনের মতো কোভিশিল্ডও ২৮ দিনের ব্যবধানেই দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু মার্চের শেষভাগ থেকেই টিকার ঘাটতি দেখা দেওয়ায় কোভিশিল্ডের টিকাকরণের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়। ৪ সপ্তাহের বদলে প্রথমে তা ৮ সপ্তাহ এবং পরে তা ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপরই সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকাকরণের সময়সীমা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছিল।  আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: ‘এক মিনিট, একটু দাঁড়ান’, খাবারের প্লেট কেড়েই হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া হল মন্ত্রীকে 

Next Article