কোচি: স্বামীর সঙ্গে ইজরায়েল (Israel) থেকে ভিডিয়োকলে কথা বলছিলেন। নিরাপদেই রয়েছেন বলে স্বামী ও পরিবারকে আশ্বস্ত করছিলেন কেরলের (Kerala) মেয়ে শিজা আনন্দ। হঠাৎ করেই বিকট আওয়াজ হয়ে ফোনটা কেটে গেল। তারপর এপার থেকে বারবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন তোলেনি। বেশ কিছুক্ষণ পর কেরলে শিজার বাড়িতে খবর এল, রকেট হানায় আহত হয়েছেন তিনি। তাঁর অস্ত্রোপচার হবে। সমগ্র ইজরায়েলের যে কী পরিস্থিতি, কেউ যে সেখানে নিরাপদ নন, তা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট।
আদতে কেরলের বাসিন্দা ৪১ বছর বয়সি শিজা আনন্দ পেশায় নার্স। চাকরিসূত্রে বিগত ৭ বছর ধরে তিনি ইজরায়েলে রয়েছেন। তাঁর স্বামী ও দুই সন্তান মহারাষ্ট্রের পুনেতে থাকেন। শনিবারের ইজরায়েল হামলায় জখম হয়েছেন শিজা।
শিজার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভোরে হামাস বাহিনীর হামলার পরই পরিবারের তরফে তাঁকে ফোন করে দেশে ফিরে আসতে বলা হয়। শিজা জানান, তিনি নিরাপদ রয়েছেন। পরে স্বামীর সঙ্গে ভিডিয়োকলে কথা বলে তাঁকে আশ্বস্ত করছিলেন শিজা। হঠাৎ করেই ফোনের অপরপ্রান্তে প্রকাণ্ড আওয়াজ শোনা যায় এবং ফোনটা কেটে যায়। পরে শিজার এক সহকর্মী পুনেতে ফোন করে হামাস হামলায় শিজার আহত হওয়ার খররটি জানান।
গুরুতর আহত শিজাকে সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর অস্ত্রোপচার হবে। সেজন্য তাঁকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে বলে তাঁর সহকর্মী পরিবারে খবর দিয়েছেন।
এদিকে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইজরায়েলের এমন পরিস্থিতি যে, স্ত্রীর গুরুতর আহত হওয়ার খবর পেয়েও তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারছেন না শিজার স্বামী। তবে কেবল শিজা নন, তাঁর মতো কেরলের বহু বাসিন্দা ইজরায়েলে থাকেন। তবে ইজরায়েলে ভারতের দূতাবাসের তরফে তাঁদের নিরাপদে সরিয়ে আনার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কেরলের এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেরলের ২০০-র বেশি বাসিন্দাকে বেথলেহেমে একটি হোটেলে রাখা হয়েছে। আবার প্যালেস্টাইনের হোটেলে রয়েছেন কোচির ৪৫ জন। তাঁরা সকলে নিরাপদে রয়েছেন বলে ওই সংবাদমাধ্যমে উল্লিখিত।
ইজরায়েলে ভারতীয় দূতাবাসের প্রশংসা করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি ইজরায়েলের সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন বলেও জানিয়েছেন।