Akshardham Temple: ‘গুরু’, ‘আত্মা’, ‘ঈশ্বর’ নিয়ে কবিতা ও গান পরিবেশিত হল অক্ষরধাম মন্দিরে
Akshardham Temple: অনুষ্ঠানের সূচনা হয় স্বামীনারায়ণ ধুন ও বচনামৃত শাস্ত্রের গুণগান গেয়ে। এরপর পূজ্য মুনিবৎসলদাস স্বামী (স্বামীনারায়ণ অক্ষরধামের ইনচার্জ), পূজ্য সর্বনিবাসদাস স্বামী এবং পূজ্য দিব্যমূর্তিদাস স্বামীর উপস্থিতিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
নয়া দিল্লি: ভক্তিমূলক কবিতা সম্মেলনের আয়োজন করা হল দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরে। অংশ নিলেন বহু প্রতিনিধি, উপস্থিত হলেন দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। দিল্লির স্বামীনারায়ণ অক্ষরধামে গত ৫ মে কেশব কাব্য কলরব নামে এক বিশাল কবি সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষীয়ান অধ্যাপক ড. সি. উপেন্দ্র রাও, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের চেয়ারম্যান, ড. গিরিশ চন্দ্র পন্ত, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ভাগীরথী নন্দ এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুনীল জোশী।
BAPS সংস্থার আধ্যাত্মিক প্রধান এবং গুরু মহন্তস্বামী মহারাজের আসল নাম কেশব জীবন দাসের নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়েছে এই কবিতা সম্মেলনটির। সমস্ত বয়সের মানুষের জন্য সম্মেলনের দরজা খোলা ছিল। ‘গুরু’, ‘আত্মা’, ‘সহজ আনন্দ’ এবং ‘ঈশ্বর’-এর মতো বিষয়গুলিতে হিন্দি, ইংরেজি এবং সংস্কৃতে লেখা কবিতা, এবং গজল পরিবেশন করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। গত ২৫ এপ্রিলের মধ্যে প্রাপ্ত আবেদনগুলি যাচাই ও বাছাই করে নির্বাচন করা হয়েছিল। যেখান থেকে ২০ জন অংশগ্রহণকারীকে মূল অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় স্বামীনারায়ণ ধুন ও বচনামৃত শাস্ত্রের গুণগান গেয়ে। এরপর পূজ্য মুনিবৎসলদাস স্বামী (স্বামীনারায়ণ অক্ষরধামের ইনচার্জ), পূজ্য সর্বনিবাসদাস স্বামী এবং পূজ্য দিব্যমূর্তিদাস স্বামীর উপস্থিতিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রাক অধিবেশনে, বিএপিএস স্বামীনারায়ণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহ-পরিচালক ডঃ জ্ঞানানন্দদাস স্বামী সংস্কৃতে বক্তব্য পেশ করেন। এরপর ২০ জন অংশগ্রহণকারী গুরু মহিমা, ঈশ্বরের কৃপা, গুরুর গুরুত্ব, ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসা, গুরুর অনুগ্রহ এবং অন্যান্য আধ্যাত্মিক বিষয়ে তাঁদের কবিতা উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশটি পরিচালনা করেন রাধিকা শুক্লা এবং হিমানি মেহতা। এই অধিবেশনে বিচারপতি শ্রীমতি অভিলাশা কুমারী (মণিপুর হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি), ‘গুরু কৃপা’ বিষয়ের উপর তাঁর কাজ উপস্থাপন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতি সুনীতা আগরওয়াল এবং শ্রীমতি নীরুপমা গাধিয়া।
অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কৃত করা হয। যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁরা হলেন- শ্রী কমল শ্রীমালি (সেরা কবি), ‘কাত্যায়নী’ ড. পূর্ণিমা শর্মা (সেরা কবি), ড. যুবরাজ ভট্টরাইজি (প্রথম পুরস্কার), শ্রী রঘুবীর সিং মুলথান (দ্বিতীয় পুরস্কার), শ্রীমতি অঞ্জু তিওয়ারি (তৃতীয় পুরস্কার), অক্ষজ শ্রীবাস্তব (সেরা শিশু কবি) এবং অ্যাঞ্জেল দিওরা (সেরা মেয়ে কবি)। স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে, শ্রী শিবাং সুরতি এবং শ্রী ধীরাজ ধিংরেও তাঁদের পরিচালনার জন্য স্বীকৃতি পেয়েছেন।