ভুবনেশ্বর : ইডি-র ডেপুটি ডিরেক্টর সুবোধ কুমারকে আগেই নোটিস দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুলিশের তরফে। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকরা ওড়িশা গেলেও, এলেন না সুবোধ কুমার। ঝাড়খণ্ডের আইনজীবী রাজীব কুমার গ্রেফতার হওয়ার পরই সামনে আসে এই সুবোধ কুমারের নাম। মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আইনজীবী রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে কলকাতা পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে। সেই জেরাতেই উঠে এসেছে এই ইডি অফিসারের নাম।
সুবোধ কুমার পুলিশকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন ১৭ অগস্ট পর্যন্ত ছুটিতে রয়েছেন তিনি। তাই এ দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে পারেননি তিনি। মঙ্গলবার সকাল থেকে ভুবনেশ্বরের একটি হোটেলে অপেক্ষা করছিলেন ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি।
কলকাতা পুলিশের তরফে পিটিআইকে জানানো হয়েছে, ইডি অফিসারের নাম উঠে এসেছে আইনজীবীকে জেরার সময়েই। সুবোধ কুমার যে এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তার তথ্য প্রমাণ রয়েছে বলেই দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ। তাই পুলিশের তরফে ইডি অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে সুবোধ কুমার ডাকা হয়নি কলকাতায়। বদলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ওড়িশা পৌঁছে যান পুলিশ আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, রাজীব কুমার নামে ওই আইনজীবী একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। অভিযোগ, ওই মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলে টাকা চেয়েছিলেন। এক ব্যক্তির থেকে ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন তিনি। পরে এক কোটি টাকা নেওয়ার সময় ধরা পড়ে যান তিনি। হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। জেরার সময় জানা যায়, এই ঘটনায় জড়িত রয়েছেন ওই ইডি অফিসার।