উত্তর প্রদেশ: লখিমপুর-কাণ্ডে (Lakhimpur incident) সামনে এল নয়া তথ্য। এবার কংগ্রেস (Congress) নেতার যোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, অঙ্কিত দাস (Ankit Das) নামে একজন ছিলেন কনভয়ের একটি গাড়িতে। অঙ্কিত দাস প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অখিলেশ দাসের (Akhilesh Das) ভাইপো। একটি ফরচুনার গাড়িতে অঙ্কিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
রবিবারের ঘটনার পর থেকে লখিমপুরের একাধিক ভিডিয়ো সামনে এসেছে। গতকালই একটি ভিডিয়ো দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এরই মধ্যে সামনে এসেছে আরও একটি ভিডিয়ে। আর এই ভিডিয়োতেই শোনা যাচ্ছে অঙ্কিত দাসের নাম। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক আহত ব্যক্তিকে পুলিশকে প্রশ্ন করছেন যে ফরচুনার গাড়িটি কার ছিল, আহত ওই ব্যক্তি বলছেন, গাড়িটি অঙ্কিত দাসের। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। অঙ্কিত লখিমপুর এলাকার একজন প্রভাবশালী রাজনীতিক বলে জানা গিয়েছে।
এ দিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র (Ajay Mishra) দাবি করেছেন, ওই গাড়িতে তাঁর ছেলে, আশীষ ছিলেনই না। রবিবার উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh)-র লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Violence) কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেই অনুষ্ঠান ঘিরে কৃষকরা আন্দোলন দেখায়। আর সেখান থেকেই হিংসা ছড়ায়। ওই সংঘর্ষে চার কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। অন্যদিকে, বিজেপির তরফেও দাবি, তাদের তিন কর্মী ও এক গাড়ি চালকের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। যদিও কেন্দ্রায় প্রতিমন্ত্রী প্রথম থেকেই দাবি করেছেন, ওই গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না তাঁর ছেলে।
গাড়িটি সম্পর্কে অজয় মিশ্র বলেন, “আমায় জানানো হয়েছে যে চালকের মৃত্যু হয়েছে, দুই কর্মীরও মৃত্যু হয়েছে। কোনওমতে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়েছিলেন এক কর্মী। তিনজনকে আহত অবস্থাতেও উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার পরই আন্দোলনকারীরা আরেকটি ফরচুনার গাড়ি সহ মোট দুটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরা কখনওই কৃষক হতে পারে না। কৃষকদের মাঝেই দুষ্কৃতীরা লুকিয়ে ছিল।”
অন্য দিকে, প্রিয়াঙ্কার পর এ বার রাহুল গান্ধীও যাওয়ার অনুমতি পেলেন না লখিমপুরে। রাজ্য সরকারের কাছে কংগ্রেসের তরফে আবেদন জানানো হলেও, ওই অঞ্চলে আপাতত শান্তি বজায় রাখতে সরকার নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকবে বলে জানিয়েছে। রাহুল গান্ধীর দাবি, ১৪৪ ধারা অনুযায়ী তিন জন যেতে পারেন, তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। আমরা তিন জন যাচ্ছি। আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হোক। নচেৎ আমরা অবস্থানে বসব। সূত্রের খবর, দিল্লি এয়ারপোর্ট অথরিটিকে চিঠি দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব অবনিশ অবস্থির। দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে রাহুল গান্ধীর বিমান বন্দরে ঢুকতে না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি।