কেরল: ড. এ জে সাহানা। এমবিবিএস উত্তীর্ণ ছাত্রীকে নিয়ে মা ও দাদার স্বপ্ন ছিল অনেক। বাবার মৃত্যু হয়েছে বছর কয়েক আগেই। সাহানাই ছিল পরিবারের অন্যতম ভরসা। কিন্তু পণের চাপে হেরে যেতে হল তাঁকে! শুধুই টাকা আর টাকা? ভালবাসার কি কোনও মূল্য নেই? এই প্রশ্নই রেখে গেলেন সাহানা। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁরই সহপাঠী রুয়াই। ভালবেসেছিলেন সাহানাও। সব কথা এগোচ্ছিল। কিন্তু বাধ সাধল পণ। প্রচুর গয়না, বিএমডব্লু গাড়ি চেয়ে বসলেন রুয়াইয়ের বাবা। আর তাতেই ভেস্তে গেল বিয়ে। ভালবাসর মানুষটাকেও পাশে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর পথই বেছে নিলেন কেরলের সাহানা।
পুলিশ তাঁর দেহের কাছ থেকেই একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। তাতে লেখা, ‘পণের লোভের জন্যই আজ আমার জীবনটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ওরা কি ওর বোনের জন্য পণ চাইছে? ওদের আরও আরও সম্পত্তি দরকার? মানুষের ভালবাসার কি কোনও মূল্য নেই?’ কতটা অবসাদে তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন, চিঠি থেকেই তা স্পষ্ট।
যে বিপুল পণ চাওয়া হয়েছিল, তা দেওয়া সম্ভব ছিল না সাহানার পরিবারের পক্ষে। তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে বলেছিল সাহানার পরিবার। কোনও ভাবেই যখন মানতে রাজি হয়নি রুয়াই-এর পরিবার, তখন সাহানার মা ও দাদা তাঁকে সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বলেছিলেন। বলেছিলেন রুয়াইকে ভুলে যেতে। তাঁদের কিছুই বলেননি সাহানা। স্বাভাবিক আচরণ করেন। তারপরই নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে যান সাহানা। সেখানেই গিয়ে নিজেকে অ্যানাস্থেসিয়ার ডোজ দিয়ে শেষ করেন দেন। মৃত্যুর আগে লিখে যান ওই চিঠি।