Leopard: তুমি যে এ ঘরে কে তা জানত! ভাতের হাঁড়ি মাথায় আটকে ৫ ঘণ্টা বসে চিতাবাঘ, তারপর…

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Mar 04, 2024 | 7:34 AM

Leopard: খাবারের খোঁজে রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকেছিল চিতাবাঘটি। একটি বাড়ির গোয়ালঘরে গিয়ে ঘোরাফেরা করছিল চিতাবাঘ। হাড়িতে রাখা ছিল পচা ভাত ও মাড়। তাই চেখে দেখতে হাঁড়ির ভিতরে মুখ ঢুকিয়েছিল চিতাবাঘটি। ব্যস, মুখ আটকে যায়। এরপর ছটফট করলেও মাথা বের করতে পারেনি কিছুতেই।

Leopard: তুমি যে এ ঘরে কে তা জানত! ভাতের হাঁড়ি মাথায় আটকে ৫ ঘণ্টা বসে চিতাবাঘ, তারপর...
এভাবেই আটকে ছিল চিতাবাঘটি।
Image Credit source: ANI

Follow Us

মুম্বই: ‘তুমি যে এ ঘরে, কে তা জানত’…গুপি-বাঘার এই গানটা মনে আছে? সিনেমায় যেমন বাঘমামাকে দেখে যেমন ভয়ে পাথর হয়ে গিয়েছিল গুপি-বাঘা, ঠিক তেমনটাই হল ধুলে জেলার এক পরিবারের। বাড়ির কর্ত্রী সকালে খড়-বিচুলি নিতে গোয়ালঘরে ঢুকেছিলেন। হঠাৎ দেখলেন সামনেই হলুদ কালো ছোপ ছোপ কী একটা যেন। ভাল করে তাকাতেই চোখ কপালে। এ তো চিতাবাঘ! সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কে ঘরে ছুট লাগান। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। ৫ ঘণ্টা বাদে নানা চেষ্টা করে ওই চিতাবাঘকে উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলার একটি গ্রামে। জানা গিয়েছে, খাবারের খোঁজে রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকেছিল চিতাবাঘটি। একটি বাড়ির গোয়ালঘরে গিয়ে ঘোরাফেরা করছিল চিতাবাঘ। হাড়িতে রাখা ছিল পচা ভাত ও মাড়। তাই চেখে দেখতে হাঁড়ির ভিতরে মুখ ঢুকিয়েছিল চিতাবাঘটি। ব্যস, মুখ আটকে যায়। এরপর ছটফট করলেও মাথা বের করতে পারেনি কিছুতেই।

ভীত চিতাবাঘটি ওই অবস্থায় বসে থাকে। সকালে বাড়ির লোকজন চিতাবাঘটিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। বনকর্মীরা এসে নানা চেষ্টা-চরিত্র করে চিতাবাঘের মাথা হাঁড়ি থেকে বের করতে সক্ষম হন। উদ্ধার করা হয়েছে চিতাবাঘটিকে। জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে ওই চিতাবাঘটিকে।

রেঞ্জ ফরেস্ট অফিসার সবিতা সোনাওয়ানে জানিয়েছেন, এটি একটি পুরুষ চিতাবাঘ ছিল। হাঁড়িতে মাথা আটকে যাওয়ায় চিতাবাঘটি খুব ভয় পেয়েছিল। বন দফতরে কর্মীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক চিকিৎসা করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে চিতাবাঘটিকে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতে আনুমানিক ১৩ হাজার ৮৭৪টি চিতাবাঘ রয়েছে। ২০১৮ সালের পর দেশে চিতাবাঘের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। সবথেকে বেশি সংখ্যক চিতাবাঘ রয়েছে মধ্য প্রদেশে (৩৯০৭)। মহারাষ্ট্র (১৯৮৫), কর্নাটক (১৮৭৯) ও তামিলনাড়ুতেও (১০৭০) চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়েছে তুলনামূলকভাবে। পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও অরুণাচল প্রদেশ মিলিয়ে এই অঞ্চলে চিতাবাঘের সংখ্যা ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

Next Article