পাটনা: নয়া সমীকরণ বিহারে! আবার NDA-র হাত ধরতে চলেছেন লোক জনশক্তি পার্টি (LJP)-র প্রধান চিরাগ পাসওয়ান? সিনিয়ার বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের (Nityanand Rai) সঙ্গে চিরাগ পাসওয়ানের (Chirag Paswan) বৈঠকের পর এমনই জল্পনা শোনা যাচ্ছে বিহারের রাজনীতির অলিন্দে। বিশেষত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে রামবিলাস (Ram Vilas Paswan)-পুত্রের বৈঠকের পর পাসওয়ানদের বাড়িটি তাঁর ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ বলে অভিহিত করায় সেই জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে।
গত শুক্রবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন LJP-র প্রধান তথা জামুইয়ের সাংসদ চিরাগ পাসওয়ান। যদিও বৈঠকে ঠিক কী আলোচনা হল, এনডিএ-র সঙ্গে জোট করছেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট করেননি তিনি। তবে বিষয়টি খারিজও করে দেননি। পুরো বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষ বলে কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন রামবিলাস-পুত্র।
অন্যদিকে, চিরাগের সঙ্গে জোট নিয়ে কথা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করেননি বিজেপি সাংসদ নিত্যানন্দ রাই। বিজেপির সঙ্গে প্রয়াত রামবিলাসের সুসম্পর্ক ছিল এবং তাঁরা উভয়ই জনগণকে ভাল পরিষেবা দিতে চান বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
তবে রবিবার দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন চিরাগ পাসওয়ান। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন ও ২০২৫-এর বিহার বিধানসভা নির্বাচন নিয়েই এই বৈঠক বলে জানিয়েছেন তিনি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের রামবিলাস-পুত্র স্পষ্টত জানান, তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা যে কোনও জোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে তাঁকে অনুমোদন দিয়েছেন। চিরাগের এই মন্তব্যের মাধ্যমে এলজেপি নেতা জোট-ইঙ্গিতই দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অন্যদিকে, কাকা পশুপতি কুমার পরশ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে LJP প্রধান স্পষ্টত জানান, তিনি জোটে যোগ দেবেন কি না, তাতে কিছু আসে-যায় না। একজন নেতাকে কতজন মানুষ সমর্থন করেন, তার উপরই তাঁর গুরুত্ব নির্ভর করে। অর্থাৎ পশুপতি কুমারকে যে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তা চিরাগের এই বক্তব্যেই স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের মৃত্যুর পর LJP-র উত্তরাধিকার নিয়ে কাকা পশুপতি কুমার ও চিরাগের মধ্যে বিরোধ বাধে। এখনও দলের একটি গোষ্ঠী পশুপতি কুমারকেই নেতা মানেন। এদিকে, ২০২০ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের সময় নীতিশ কুমারের বিরোধিতা করে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন চিরাগ।