নয়া দিল্লি: শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করার অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কিন্তু সে কথা কানেই ঢুকল না বিরোধীদের। এ দিন লোকসভা অধিবেশন শুরু হতেই হই-হট্টগোল শুরু করে বিরোধী সাংসদরা (Opposition MPs)। স্পিকার ওম বিড়লা(Om Birla)-র বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও বিরোধীরা না থামায়, বাধ্য় হয়ে দুপুর ১২টা অবধি লোকসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়।
আজ থেকেই শুরু হল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন(Parliament’s Winter Session), চলবে ২৩ ডিসেম্বর অবধি। অধিবেশন শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনুরোধ করেছিলেন, শান্তিপূর্ণভাবেই যেন অধিবেশনের কাজ হয়। তিনি বলেন, “সরকার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। আমরা চাই সংসদে আলোচনা হোক, তবে শান্তিও যেন বজায় থাকে। সরকারের বিরুদ্ধে হোক বা সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত- প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে সংসদের অধ্যক্ষ ও স্পিকারের সম্মান যাতে রক্ষা হয়, তাও মাথায় রাখতে হবে। আমাদের এমন আচরণ বজায় রাখা উচিত, যা পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।”
তবে এ দিন লোকসভা(Lok Sabha)-র অধিবেশন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিরোধীদের হইহট্টগোলে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। সংসদের যৌথ অধিবেশনে নতুন সাংসদরা শপথ গ্রহণের পরই লোকসভার অধিবেশন শুরু হয়। এরপরই বিরোধী সাংসদরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কৃষক ইস্য়ুতে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সাংসদদের শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করে তিনি বলেন, “আজ অধিবেশনের প্রথম দিন। গোটা দেশই অধিবেশনের দিকে নজর রাখছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আমি আলোচনা করতে দিতে প্রস্তুত, কিন্তু শান্তি বজায় রাখতে হবে। যে সমস্ত সাংসদরা চিৎকার করছেন, তাদের আসনে বসার অনুরোধ করছি।”
অন্যদিকে, রাজ্যসভাতেও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিরোধীরা হই-হট্টগোল শুরু করে।
উল্লেখ্য, গত অধিবেশনেও কৃষি আইন প্রত্যাহার ও পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। লাগাতার বিক্ষোভের কারণে ব্যাহত হয় অধিবেশন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই স্থগিত করে দেওয়া হয় বাদল অধিবেশন। গত অধিবেশনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণেই এদিন অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তিপূর্ণভাবে অধিবেশন চালানোর অনুরোধ জানান।
বিরোধীদের ইতিমধ্যেই একাধিক ইস্যুতে সরব হওয়ার পরিকল্পনা করেছে। গতকালই সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস ১০টি ইস্যু তুলে ধরে। এবারের অধিবেশনে বিরোধীরা কেন্দ্রকে যে ইস্যুগুলিতে আক্রমণ করতে পারে, তা হল- ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টির দাবি, পেট্রোপণ্য ও অত্য়াবশ্যকীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি, লখিমপুর কাণ্ডে নাম জড়ানো কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ইস্তফার দাবি প্রভৃতি। তবে বিরোধীদের আক্রমণের প্রধান হাতিয়ার হতে চলেছে কৃষি আইনই। বাদল অধিবেশনে যেখানে বিরোধীরা আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই সরব হয়েছিল, এবার পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েই কেন্দ্রকে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশের ভোটারদের একটি বড় অংশই কৃষক হওয়ায়, তাদের মন জয় করতেই কেন্দ্র আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নয়া দিল্লি: শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করার অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কিন্তু সে কথা কানেই ঢুকল না বিরোধীদের। এ দিন লোকসভা অধিবেশন শুরু হতেই হই-হট্টগোল শুরু করে বিরোধী সাংসদরা (Opposition MPs)। স্পিকার ওম বিড়লা(Om Birla)-র বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও বিরোধীরা না থামায়, বাধ্য় হয়ে দুপুর ১২টা অবধি লোকসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়।
আজ থেকেই শুরু হল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন(Parliament’s Winter Session), চলবে ২৩ ডিসেম্বর অবধি। অধিবেশন শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনুরোধ করেছিলেন, শান্তিপূর্ণভাবেই যেন অধিবেশনের কাজ হয়। তিনি বলেন, “সরকার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। আমরা চাই সংসদে আলোচনা হোক, তবে শান্তিও যেন বজায় থাকে। সরকারের বিরুদ্ধে হোক বা সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত- প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে সংসদের অধ্যক্ষ ও স্পিকারের সম্মান যাতে রক্ষা হয়, তাও মাথায় রাখতে হবে। আমাদের এমন আচরণ বজায় রাখা উচিত, যা পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।”
তবে এ দিন লোকসভা(Lok Sabha)-র অধিবেশন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিরোধীদের হইহট্টগোলে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। সংসদের যৌথ অধিবেশনে নতুন সাংসদরা শপথ গ্রহণের পরই লোকসভার অধিবেশন শুরু হয়। এরপরই বিরোধী সাংসদরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কৃষক ইস্য়ুতে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সাংসদদের শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করে তিনি বলেন, “আজ অধিবেশনের প্রথম দিন। গোটা দেশই অধিবেশনের দিকে নজর রাখছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আমি আলোচনা করতে দিতে প্রস্তুত, কিন্তু শান্তি বজায় রাখতে হবে। যে সমস্ত সাংসদরা চিৎকার করছেন, তাদের আসনে বসার অনুরোধ করছি।”
অন্যদিকে, রাজ্যসভাতেও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিরোধীরা হই-হট্টগোল শুরু করে।
উল্লেখ্য, গত অধিবেশনেও কৃষি আইন প্রত্যাহার ও পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। লাগাতার বিক্ষোভের কারণে ব্যাহত হয় অধিবেশন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই স্থগিত করে দেওয়া হয় বাদল অধিবেশন। গত অধিবেশনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণেই এদিন অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তিপূর্ণভাবে অধিবেশন চালানোর অনুরোধ জানান।
বিরোধীদের ইতিমধ্যেই একাধিক ইস্যুতে সরব হওয়ার পরিকল্পনা করেছে। গতকালই সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস ১০টি ইস্যু তুলে ধরে। এবারের অধিবেশনে বিরোধীরা কেন্দ্রকে যে ইস্যুগুলিতে আক্রমণ করতে পারে, তা হল- ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টির দাবি, পেট্রোপণ্য ও অত্য়াবশ্যকীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি, লখিমপুর কাণ্ডে নাম জড়ানো কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ইস্তফার দাবি প্রভৃতি। তবে বিরোধীদের আক্রমণের প্রধান হাতিয়ার হতে চলেছে কৃষি আইনই। বাদল অধিবেশনে যেখানে বিরোধীরা আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই সরব হয়েছিল, এবার পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েই কেন্দ্রকে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশের ভোটারদের একটি বড় অংশই কৃষক হওয়ায়, তাদের মন জয় করতেই কেন্দ্র আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।