নয়া দিল্লি: এ রাজ্যের ২০টি আসনে বিজেপি এখনও অবধি প্রার্থী দিয়েছে। মোট ৪২ আসনের মধ্যে এখনও ২২টিতে দেওয়া বাকি। আবার পদ্ম শিবিরের আসানসোলের প্রার্থী পবন সিং জানিয়েছেন, তিনি ভোটে লড়ছেন না। এই আবহে দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এই বৈঠক। সূত্রের খবর, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা আসন নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হতে চলেছে। তালিকায় আছে আসানসোল, দার্জিলিং, ব্যারাকপুর, মেদিনীপুর।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আগামী দু’দিনের মধ্যে বাংলার প্রার্থী তালিকা চলে আসবে। সোমবার সকাল থেকে তাঁরা বৈঠকে বসেছেন। বিকাল ৫টার পর বিজেপির সদর দফতরে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠক হবে বলে খবর।
সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে একটি খসড়া তালিকা তৈরি হবে। আগামিকাল মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটির বৈঠকে এই তালিকাতেই সিলমোহর পড়বে। আশা করা যায়, বুধবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতে পারে।
মূলত বাকি ২২টি আসনের মধ্যে মেদিনীপুর, দার্জিলিং, ব্যারাকপুরে বিজেপির প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে একটা চাপা উন্মাদনা দলের অন্দরেও। মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ। প্রথম তালিকায় মেদিনীপুরের প্রার্থীর নাম না থাকায় দিলীপের আবারও টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। অর্থাৎ মেদিনীপুরে দিলীপই আবার প্রার্থী কি না তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে।
দ্বিতীয় কেন্দ্র দার্জিলিং। এখানে রাজু বিস্তা বিদায়ী সাংসদ। সূত্রের খবর, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এখানে হর্ষবর্ধন শ্রীংলাকে চাইছে। তাহলে রাজু বিস্তা কি টিকিট পাবেন না? এ নিয়ে আলোচনা চলছে।
তৃতীয় কেন্দ্র ব্যারাকপুর। এখানে অর্জুন সিং বিদায়ী সাংসদ। বিজেপির টিকিটে জিতলেও মাঝে তৃণমূলে চলে গিয়েছিলেন। তবে ২০২৪-এ তৃণমূল তাঁর নাকের সামনে থেকে ভোটের টিকিট নিয়ে পার্থ ভৌমিককে দিয়ে দিয়েছে। রাগে আবারও বিজেপিতে ফিরেছেন তিনি। তবে কি এবারও অর্জুনই বিজেপির মুখ?
আরও একটি কেন্দ্র যার দিকে রয়েছে নজর। উত্তর কলকাতা। এখানে তৃণমূলের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সুদীপের তীব্র বিরোধিতা করে শাসকশিবিরের সঙ্গে দু’দশকের সম্পর্কই ছিন্ন করে ফেলেন তাপস রায়। বিজেপিতে যোগ দেন রাতারাতি। এ কেন্দ্রে বিজেপির মুখ কে হবে, নজর তো রাখতেই হবে।