মুম্বই: ১০০ কোটির আর্থিক তছরূপ মামলায় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিপদ আরও এক ধাপ বাড়ল। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেকটরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি লুক আউট নোটিস জারি করেছে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে। এর ফলে এখন আর দেশের বাইরেও যেতে পারবেন না তিনি। এমনও মনে করা হচ্ছে, এবার মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।
এখনও অবধি অনিল দেশমুখকে পাঁচবার সমন পাঠিয়েছে ইডি। কিন্তু তিনি একবারও তদন্তকারীদের ডাকে সাড়া দেননি বলেই অভিযোগ। তদন্তে কোনও রকম সহযোগিতা পাননি তদন্তকারীরা। ষষ্ঠবার সমনও পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইডি। এরই মধ্যে জারি হল লুক আউট নোটিস। সূত্রের খবর, কোনও ভাবেই যাতে রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশ না ছাড়তে পারে, সে কারণেই এই লুক আউট নোটিসের পথে হাঁটলেন তদন্তকারীরা। গত মাসেই সুপ্রিম কোর্টও তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছে। ইডির পাশাপাশি অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে সিবিআইও দুর্নীতির অভিযোগ রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের পরই গত মার্চ মাসে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংকে সরিয়ে দেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। এরপরই পরমবীর সিং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লিখে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনেন। তিনি জানান, অম্বানীকাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়ে এবং এসিপি সঞ্জয় পাটিলকে প্রতিমাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলেন। এর জন্য মুম্বইয়ের ১৬০০ বার-রেস্তোরাঁকেও চিহ্নিত করেছিলেন তিনি।
বিষয়টি আদালত অবধি গড়ালে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তারপরই ইডিও আর্থিক তছরূপের মামলা দায়ের করে। সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকরা ৪ কোটি টাকা তছরূপের খোঁজ পেয়েছেন। অম্বানীকাণ্ডে অভিযুক্ত সচিন ভাজ়ের মাধ্যমে হাতবদল হয়ে তা অনিল দেশমুখের কাছে এসেছিল। এই তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতারও হতে পারেন অনিল দেশমুখ। এর আগে মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়, তোলাবাজি মামলায় পরমবীর সিংয়ের বিরুদ্ধেও লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে। যদিও পরমবীর সিং গত ৪ মে’র পর থেকে কোথায়, তার কোনও খোঁজ নেই।
এই ঘটনায় চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সিবিআইয়ের এক আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়। গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার হন অভিষেক তিওয়ারি নামে সিবিআইয়ের সাব ইন্সপেক্টর পদাধিকারি। সূত্রের দাবি, অনিল দেশমুখের আইনজীবীর সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এছাড়াও অনিল দেশমুখ ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে অর্থ ও অন্যান্য সাহায্যও নিয়েছেন বলে অভিয়োগ ওঠে। ওই সাব ইন্সপেক্টরের দিল্লি ও প্রয়াগরাজের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। গ্রেফতারও করা হয় অনিল দেশমুখের আইনজীবীকেও। আরও পড়ুন: Covid Vaccine: জেনে নিন কী ভাবে চিনবেন আসল কোভিশিল্ড-কোভ্যাকসিন