লখনউ: রাজ্য বলছে মৃতের সংখ্যা ৬৮। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়ো বলছে অন্য কথা। লখনউয়ের শ্মশানে লাগাতার চিতা জ্বলার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই কড়া পদক্ষেপ সরকারের। তবে তা সংক্রমণ রুখতে নয়, বরং রাতারাতি শ্মশানের আশেপাশে নীল লোহার শিট দিয়ে ঘিরে ফেলা হল।
মধ্য প্রদেশের পর এ বার উত্তর প্রদেশও। অভিযোগ, করোনায় মৃতের আসল সংখ্যা লুকোচ্ছে সরকার। রাজ্যের হিসাবে যেখানে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৫০ থেকে ৬০-র গণ্ডিতে ঘোরাফেরা করছে, সেখানেই শ্মশানের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ২০০-রও বেশি দেহের সৎকার করা হচ্ছে। দুই তরফের তথ্যে এই আকাশ-পাতাল ফারাক প্রমাণে যুক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিয়ো।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, গোটা শ্মশান অঞ্চল জুড়েই জ্বলছে চিতা। শ্মশানটি লখনউয়ের একটি শ্মশান ঘাটের। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই বিরোধী দলগুলিও সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছে।
This video is of the crematorium ghat located in Bhainsakund, Lucknow. I am not able to give speech and am knowledgeable, so just understand that when the change in the governance event, the situation on the ground is like this.#Lucknow #stayhomestaysafe#मोदी_सरकार_ध्यान_दो ? pic.twitter.com/NmBMYQILMS
— Deepak Chandra joshi (@DeepakJ02841911) April 15, 2021
এরপরই যোগী সরকারের তরফে নীল লোহার শিট দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে শ্মশান। লাগানো হয়েছে একটি নোটিসও, যেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ কারণ এটি কোভিড-১৯ প্রভাবিত এলাকা।
শ্মশান ঘিরে ফেলার বিষয়টি সামনে আসতেই যোগী সরকারকে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও। তিনি টুইট করে লেখেন, “উত্তর প্রদেশ সরকারের হাতে অনুরোধ, যেই সময় ও শক্তি আপনারা সত্যি লুকোতে খরচ করছেন, তা সংক্রমণ রুখতে, সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে খরচ করুন। এই সময়ে দাড়িয়ে এটাই প্রয়োজন।”
उप्र की सरकार से एक निवेदन है:
अपना समय, संसाधन और ऊर्जा इस त्रासदी को छुपाने, दबाने में लगाना व्यर्थ है। महामारी को रोकने, लोगों की जान बचाने, संक्रमण को फैलने से रोकने के लिए ठोस कदम उठाइए। यही वक्त की पुकार है। pic.twitter.com/xwKrfyav4o
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) April 15, 2021
গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর প্রদেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৫১০ জন। গতকালই রাজ্য সরকারের তরফে নৈশ কার্ফুর মেয়াদ বাড়ানো হলেও সম্প্রতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছিল জেলাভিত্তিক লকডাউনের পরিকল্পনা করতে।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে মুম্বই, একদিনেই ১৭ হাজার আক্রান্ত নিয়ে সংক্রমণের শীর্ষে দিল্লি