পিছিয়ে মুম্বই, একদিনেই ১৭ হাজার আক্রান্ত নিয়ে সংক্রমণের শীর্ষে দিল্লি
বুধবার দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ২৮২। একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের। ইতিমধ্যেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্যজুড়ে নৈশকার্ফুর পাশাপাশি সপ্তাহ শেষে কার্ফুও জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
নয়া দিল্লি: মুম্বইকেও টপকে গেল দিল্লি। কোনও সাফল্য নয়, দৈনিক করোনা আক্রান্তের নিরিখে বাণিজ্যনগরীকে টপকে গেল রাজধানী। রাজ্যের নিরিখে সংক্রমণের তালিকায় শীর্ষে মহারাষ্ট্র থাকলেও শহরভিত্তিক হিসাবে মুম্বইকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে দিল্লির করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ এপ্রিল মুম্বইয়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ১৬৩। এ দিকে, বুধবার দিল্লিতে একদিনেই আক্রান্ত হন ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। অর্থাৎ প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত সংখ্যা নিয়ে বর্তমানে শহরভিত্তিক সংক্রমণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দিল্লি।
গত বছর অক্টোবর মাসে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৯৩। চতুর্থ ঢেউয়ে সেই সংখ্যাই দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে আচমকাই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আশর্চয হয়েছেন চিকিৎসকরাও।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, বুধবার রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ২৮২। একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের। মঙ্গলবার মোট ১ লাখ ৮ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, এরমধ্যেই ১৭ হাজারের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এই নিয়ে দিল্লির আক্রান্তের হারও বেড়ে ১৫.৯২ শতাংশ হয়েছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে নৈশকার্ফুর পাশাপাশি সপ্তাহ শেষে কার্ফুও জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। সংক্রমণের চেইন ভাঙতে কেন্দ্রের কাছে টিকাকরণের বয়সসীমা প্রত্যাহারের অনুরোদও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র জুড়েও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৫ দিনের জন্য কড়া কার্ফু জারি হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত কিছু বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ঠাকরে সরকার।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে তৈরি হবে কোভ্যাক্সিন, অনুমতি দেওয়ায় নমোকে ধন্যবাদ ঠাকরের