Fake Vaccine Certificate: টিকা নিয়েছেন ৪ মাস আগে মৃত ব্যক্তিও! একাধিক ভুয়ো সার্টিফিকেট ঘিরে রহস্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 23, 2021 | 10:30 AM

Madhya Pradesh Fake COVID Certificate: চার মাস আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন দিব্যা শর্মা। তাঁর ছেলের ফোনে ১৭ তারিখ মেসেজ আসে করোনার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার। মেসেজ দেখেই পরিবারের সকলে অবাক হয়ে যান।

Fake Vaccine Certificate: টিকা নিয়েছেন ৪ মাস আগে মৃত ব্যক্তিও! একাধিক ভুয়ো সার্টিফিকেট ঘিরে রহস্য
প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

ভোপাল: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-র জন্মদিনে রেকর্ড পরিমাণ টিকাকরণই লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Health Ministry)। সেই লক্ষ্যপূরণে সাহায্যও করেছে প্রতিটি রাজ্য। কমবেশি সব রাজ্যেই সে দিন রেকর্ড পরিমাণ টিকাকরণ হয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন কাটতেই উঠে আসছে নতুন তথ্য। টিকাকরণের সংখ্যা বাড়াতে মৃত ব্যক্তিদের নামেও ইস্যু করা হচ্ছে ভ্য়াকসিন সার্টিফিকেট (Vaccine Certificate)।

অবিশ্বাস্য হলেও এমনটাই ঘটেছে মধ্য প্রদেশে (Madhya Pradesh)। ১৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রের আড়াই কোটি টিকাকরণের মধ্যে ২৭ লক্ষ করোনা টিকা দেওয়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশে, এমনটাই বলছে সরকারি হিসাব। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই খামতি ধরা পড়ছে একাধিক জায়গায়, এমনকি ভয়ঙ্কর কিছু গরমিলও উঠে আসছে। একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তারা করোনা টিকা না নিলেও তাদের নামে টিকা সার্টিফিকেট চলে আসছে।

ভোপাল থেকে ২০০ কিমি দূরে আগার-মালওয়া জেলার বাসিন্দা আশোতোষ শর্মা গত ১৭ তারিখ রাত ৮টা নাগাদ একটি মেসেজপান। তাতে লেখা, দিব্যা শর্মার কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ়ও পূরণ হলয। নীচে এও লেখা যে, আজই দেশ টিকাকরণে নয়া রেকর্ড তৈরি করেছে। তবে সমস্যাটা একটাই জায়গায়, চার মাস আগেই তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাঁর ছেলের ফোনে এই মেসেজ আসতেই পরিবারের সকলে অবাক হয়ে যান। প্রমাণ রাখতে তড়িঘড়ি সেই ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটটি ডাউনলোড করে নেওয়া হয়।

ওই অঞ্চলেরই পিঙ্কি ভর্মা নামক এক মহিলার কাছেও দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার মেসেজ আসে ১৭ তারিখ। তবে সেই মেসেজে লেখা ছিল তিনি রাজস্থানের ঝালাওয়ার থেকে দ্বিতীয় ডোজ়টি নিয়েছেন।  পিঙ্কি বলেন, “আমি ৮ জুন প্রথম ডোজ় নিই। ৭ সেপ্টেম্বর আমার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার কথা থাকলেও অসুস্থ থাকায় যেতে পারিনি। এখনও অবধি আমার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়া হয়নি, এদিকে টিকা সার্টিফিকেট এসে গিয়েছে। তাতে আবার উল্লেখ করা হয়েছে যে আমি রাজস্থান থেকে টিকা নিয়েছি। আমার মনে হচ্ছে সরকারের তরফে ইচ্ছে করেই টিকাকরণের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এই ধরনের কাজ করা হয়েছে।”

ভোপালের বাসিন্দা লীলা সুতারের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে। তিনি ২৫ মার্চ প্রথম ডোজ় নেন, কিন্তু তারপরই করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এখনও অবধি তিনি করোনা টিকা নিতে পারেননি। এদিকে, ১৭ তারিখ তাঁর ফোনেও মেসেজ আসে যে তিনি দ্বিতীয় ডোজ় পেয়ে গিয়েছেন। যাদের কাছে ভুয়ো টিকাকরণের মেসেজ এসেছে, তাঁরা পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় ডোজ় আর নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

প্রশাসনকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাদের জবাব একটাই, “হয়তো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দু-একজনের কাছে ভুল করে মেসেজ চলে গিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এর আগে জুন মাসে ভোপালেরই ১৩ বছরের এক কিশোরী টিকা সার্টিফিকেট পায়। সেই সময়ও প্রশাসনের তরফে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।

Next Article