দেশ: ৪ ঘণ্টার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান। আর তার জন্য খরচ করা হচ্ছে প্রায় ২৩ কোটি টাকা। ভগবান বিরসা মুন্ডা স্মরণে জনজাতি গৌরব দিবসের অনুষ্ঠানে এমনই বিপুল আয়োজন মধ্যপ্রদেশ সরকারের (Madhya Pradesh Government)।
আগামী ১৫ নভেম্বরের এই অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হবে উপজাতি যোদ্ধাদের। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। সেদিন দেশের প্রথম পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে তৈরি প্রথম স্টেশনের উদ্বোধন-ও করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভোপালের জামবোরি ময়দান থেকে হবিবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের শুভ উদ্বোধন থেকে জনজাতি গৌরব দিবস পালন, ঠাসে কর্মসূচি। থাকছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তাই ব্যয়ে কোনও রকম কার্পণ্য করতে নারাজ শিবরাজ সিং চৌহন সরকার।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনজাতি গৌরব দিবস-এর অংশ হিসাবে বিরসা মুন্ডার পাশাপাশি অন্যান্য আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীর অবদান স্মরণে আগামী ১৫ থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত জাতীয় ভাবে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। আর তাতে বিশাল আয়োজন করছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। জামবোরি ময়দানে আদিবাসী চিত্রকলায় সাজিয়ে তোলা বিরাট প্যান্ডেলে নাকি প্রায় ২ লাখ আদিবাসী দর্শক জড়ো হতে পারেন।
সেদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী চার ঘণ্টা কাটাবেন ভোপালে। তার মধ্যে এই মঞ্চেই ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট উপস্থিত থাকবেন তিনি। তার জন্য পাঁচটি পৃথক মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে ৩০০-র বেশি কর্মী কাজ করে চলেছেন। জানা যাচ্ছে, এই অনুষ্ঠানের জন্য সব মিলিয়ে ২৩ কোটি টাকা ব্যয় করছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। তার মধ্যে ১৩ কোটি টাকার খরচ হবে খালি বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শকদের অনুষ্ঠানে মঞ্চে জড়ো করার জন্য!
মোট ৫২ জেলা থেকে আদিবাসী সমাজের মানুষদের অনুষ্ঠানে নিয়ে আসবে মধ্য প্রদেশ সরকার। তাঁদের আনা, আতিথেয়তার জন্য ১২ কোটি, আর গম্বুজাকার প্যান্ডেল, সজ্জা এবং অনুষ্ঠানের জন্য আরও ৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।
সেদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী হাবিবগঞ্জে দেশের প্রথম বিশ্বমানের রেল স্টেশন উদ্বোধন করবেন। ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিপি মডেলে তৈরি স্টেশনটি জার্মানির হাইডেলবার্গ রেল স্টেশনের অনুরূপে তৈরি। সব মিলিয়ে চোখ ধাঁধানো আয়োজন।
এদিকে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বা এনসিআরবি-র তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশে তফসিলি উপজাতিদের উপর অত্যাচারের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। ২,৪০১ টি। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ১,৯২২। ২০১৮ সালে তা ছিল ১,৮৬৮। দুই বছরের সময়কালে রাজ্য আদিবাসী জনগণের উপর অত্যাচার বেড়েছে ২৮ শতাংশ।
বিরোধীদের কটাক্ষ, রাজ্যে তফসিলি উপজাতিদের জন্য ৪৭টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে। এদিকে ২০০৮ সালে বিজেপি মাত্র ২৯টিতে জিতেছিল। তাই এমন আয়োজন।