ভোপাল: জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের হস্তক্ষেপের পরই কামাল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খোঁজ পাওয়া গেল ২৬ নিখোঁজ কিশোরীর। মধ্য প্রদেশের ভোপালের একটি হোম থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল ২৬ কিশোরী। শিশু সুরক্ষা কমিশন এই বিষয়টি সামনে আনতেই শোরগোল পড়ে যায়। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান-উতোরও। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই, শনিবার মধ্য প্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হল, ওই নিখোঁজ ২৬ কিশোরীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের দুই অফিসারকে। শো-কজ নোটিস দেওয়া হয়েছে আরও দুই আধিকারিককে।
যে শিশু ও নাবালিকাদের মাথার উপরে ছাদ নেই, তাদের ঠিকানা ছিল এই হোম। কিন্তু হঠাৎই একদিন সামনে আসে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। হোমের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বিভিন্ন রাজ্যের মোট ৬৮ জন কিশোরী বসবাস করে এই হোমে। কিন্তু শিশু সুরক্ষা কমিশন অভিযান চালিয়ে দেখতে পান, হোমে মাত্র ৪২ জন নাবালিকা রয়েছে, ২৬ কিশোরীর হদিস নেই। এরপরই পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। নিখোঁজ কিশোরীদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
শনিবার পুলিশের তরফে জানানো হয়, নিখোঁজ ২৬ কিশোরীরই খোঁজ মিলেছে। ১০ কিশোরীকে আদমপুর চাউনি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১৩জন কিশোরী এক বস্তিতে ছিল এবং দুইজনকে টপ নগর থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া কিশোরীরা গুজরাট, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান ও মধ্য প্রদেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। কীভাবে ওই কিশোরীরা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছল েবং সেখানে তারা কী করছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো আঁচল গার্লস হোস্টেল নামক ওই হোমে সারপ্রাইজ ভিজিটে যান। হোমের রেজিস্টারে তিনি দেখতে পান ৬৮ জন কিশোরীর নাম উল্লেখ থাকলেও, উধাও ২৬ কিশোরী।
শিশু সুরক্ষা কমিশনের অভিযোগ, ওই হোমের কোনও বৈধ লাইসেন্স ছিল না। জোর করে তাঁদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ। গতকাল ২৬ কিশোরীকে উদ্ধারের পরই চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয় কাজে গাফিলতির অভিযোগে। আরও দুই আধিকারিককে শো-কজ নোটিস দেওয়া হয়েছে।