ভোপাল: দ্রুত ব্যবস্থা নিলেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নৃশংস ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিয়োতে, মধ্য প্রদেশের রীড়া জেলার এক তরুণীকে মাঝ রাস্তায় হিংস্রভাবে মারতে দেখা গিয়েছিল তাঁর প্রেমিককে। জানা গিয়েছিল, ওই মহিলা বিয়ে করার কথা তোলাতেই মারের চোটে তাঁকে সংজ্ঞাহীন করে দিয়েছিল তাঁর প্রেমিক। রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল মধ্য প্রদেশ সরকার। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, “মধ্য প্রদেশের মাটিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার করে কেউ রেহাই পাবে না।”
रीवा जिले के मऊगंज क्षेत्र में युवती के साथ हुई बर्बरता की घटना में अपराधी पंकज त्रिपाठी को गिरफ्तार कर उसके घर पर बुलडोजर चलाया गया। ड्राइवर पंकज का लाइसेंस भी कैंसल कर दिया गया है।
मध्यप्रदेश की धरती पर महिलाओं पर अत्याचार करने वाला कोई बख्शा नहीं जायेगा। pic.twitter.com/Z4gHr2lWsk
— Office of Shivraj (@OfficeofSSC) December 25, 2022
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম পঙ্কজ ত্রিপাঠী। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। পঙ্কজ ত্রিপাঠি পেশায় একজন গাড়ি চালক। এই জঘন্য অপরাধের জন্য তার লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পিটিআইয়ের এক আগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য পঙ্কজকে আটক করা হলেও, পরে মুক্তি দেওয়া হয়। নির্যাতিতার বয়স ১৯ বছর। তিনি ঘটনাটি পুলিশকে জানাতে থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু, পঙ্কজ ত্রিপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে চাননি। তবে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে। পাশাপাশি, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে যে ব্যক্তি ভিডিয়োটি রেকর্ড করেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন, তার বিরুদ্ধেও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
इस राक्षस को धारा 151 की खानापूर्ति करके छोड़ दिया एमपी के रीवा की पुलिस ने!
परिवार अगर खूंखार के खौफ से शिकायत नहीं करवाएगा,तो क्या पुलिस इससे भी खौफनाक अगली वारदात के लिए राक्षस को आजाद छोड़ देगी!वीडियो देखें,बताएं क्या ये घटना 151 की है.!@ChouhanShivraj @drnarottammisra pic.twitter.com/DUr9k44oue— Govind Gurjar (@Gurjarrrrr) December 24, 2022
পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্যাতিতা এবং অভিযুক্তের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, বিয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। ভাইরাল ভিডিয়োটির শুরুতে তাদের হাত ধরে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। পঙ্কজ ত্রিপাঠী এবং তরুণীকে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে দেখা যায়। এরপরই যে ভিডিয়ো তুলছিল, তাকে পঙ্কজ ২ মিনিটের জন্য ভিডিয়ো রেকর্ড করা বন্ধ করতে বলেছিল। তারপরই হাতের বস্তা নামিয়ে রেখে ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করা শুরু করেছিল। তাঁকে মাটিতে ফেলে বারংবার পা দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করতে দেখা গিয়েছে পঙ্কজকে। এক সময় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন ওই তরুণী। ওই অবস্থায় ঘণ্টাখানেক রাস্তার ধারে পড়ে থাকার পর, স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল।