মধ্য প্রদেশ: পেশায় কনস্টেবল দীপিকা কোঠারি শারীরিকভাবে মহিলা হলেও মননে তিনি বরাবরই পুরুষ। ছেলেবেলা থেকেই নিজেকে মেয়ে হিসেবে মানতে অসুবিধা ছিল তাঁর। চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন অনেকবার। নানা শারীরিক পরীক্ষাও করিয়েছেন। কিছুতেই কোনও লাভ হয়নি। অবেশেষে এক চিকিৎসকের পরামর্শে পুরুষ হওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র দফতরের অনুমতি পাওয়ার পরই লিঙ্গ বদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দীপিকার।
বর্তমানে মধ্য প্রদেশের রতলামে কর্তব্যরত দীপিকা কোঠারি। শরীর ও মনের এ দ্বন্দ্ব নিয়েই এত বছর জীবন কাটিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি দিল্লির এক হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। রাজীব নামে এক চিকিৎসক তাঁকে লিঙ্গ পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছেন।
চলতি বছরেই মধ্য প্রদেশ সরকারের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি। লিখিত আকারে আবেদন জানানোর পর মিলেছে অনুমতি। তবে সেই অনুমতি পেতেও অনেক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। জেলায় তৈরি করা হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ড। সেখানকার চিকিৎসকেরা রিপোর্ট দেন সরকারকে। তবে সরকার অনুমতি দিলেও বিশেষ কিছু শর্ত দিয়েছে তাঁকে। লিঙ্গ পরিবর্তনের পর সরকারি চাকরিতে মহিলা হলে যে যে সুবিধা পাওয়া যায়, সেগুলো আর পাবেন না দীপিকা।
এছাড়া অপারেশনের আগেও অনেক পরীক্ষা করাতে হয়েছে তাঁকে। ওই কনস্টেবল মানসিকভাবে কতটা প্রস্তুত, সেটাও খতিয়ে দেখেছেন চিকিৎসকেরা। অন্য কোনও অসুস্থতা আছে কি না, সেসব দেখার পরই হরমোন বদলানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে দীপিকাই প্রথম নন, আগেও মধ্য প্রদেশ পুলিশের আর এক কর্মী লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন।