ভোপাল: যদিও বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে বলছেন যে আমরা এখনও দ্বিতীয় তরঙ্গের মধ্যেই আছি। তবে কোভিডের গ্রাফ প্রত্যেকদিন একটু একটু করে নীচের দিকে নামছে। করোনা আক্রান্ত বা মৃতের সংখ্যাও কমছে। গত কয়েকদিন ধরেই করোনায় মৃতের সংখ্যা হাজারের নীচে। এমনকি মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১৮ দিনে সর্বনিম্ন। অথচ গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ২০২০। স্বাভাবিকভাবেই এই হিসেব নতুন উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। তুলনামূলক কম আক্রান্তের মধ্যে বেশি সংখ্যক মৃত্যু কেন? এই প্রশ্নও উঠছে। তবে আদতে এই সংখ্যাটা গত ২৪ ঘণ্টার নয়। এর সঙ্গে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের বাকি থেকে যাওয়া কিছু মৃত্যুর হিসেব।
বেশ কিছুদিন ধরে মধ্যপ্রদেশের মৃতের সঠিক হিসেব আসছিল না। আর আজ একধাক্কায় ১৪৭৮ জনের মৃত্যুর হিসেব সামনে এনেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। আসলে এটা একদিনের মৃতের সংখ্যা নয়। আর এই ১৪৭৮ জনের মৃত্যু যোগ হয়েই একধাক্কায় সংখ্যাটা ২০২০-তে পৌঁছেছে। গত কয়েকদিন ধরে মধ্যপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ছিল ১০০-র কম। এক নির্দেশিকা মেনে সোমবার কিছু পুরনো মৃত্যুর হিসেব প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রদেশে সরকার। আর সেই অঙ্কের জেরেই ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার বেড়ে হয়েছে ১.৩৩ শতাংশ। অন্যান্য রাজ্য থেকে আরও ৫০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে ঠিক এ ভাবেই বাকি থাকা মৃত্যুর হিসেব সামনে এনেছিল বিহার। আদালতের নির্দেশিকা মেনে গত ৯ জুন ৩৯৫১ জনের মৃত্যুর হিসেব সামনে আনে বিহার। একধাক্কায় বিহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ৯ হাজার। আরও পড়ুন: দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের রাস্তা প্রশস্ত হচ্ছে, চরম উদ্বেগে চিকিৎসকরা
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয়েছে ৩১ হাজার ৪৪৩ জন, যা ১১৮ দিনে সর্বনিম্ন। দেশে এখন সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩১ হাজার ৩১৫। গতকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৭ হাজার ১৫৪ জন। যার মধ্যে সিংহভাগ করোনা আক্রান্তের ঠিকানা মহারাষ্ট্র ও কেরল। ওই দুই রাজ্যে বাড়তি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সারা দেশে ভয় বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্লাস্টার মহারাষ্ট্র তৃতীয় ঢেউয়ের সূত্রধর হতে পারে বলে মত বিজ্ঞানীদের।