দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। ছবি:PTI
মুম্বই: বিনকিস বানোর ধর্ষণকারীদের মুক্তির বিরোধিতা করে সরব গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে এই সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। এবার মুখ খুললেন বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসও। যেভাবে মুক্তির পর সাড়ম্বরে স্বাগত জানানো হয়েছিল ধর্ষকদের, তা তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। ফড়ণবীস বলেন, “একজন অভিযুক্ত অভিযুক্তই থাকবে এবং তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার কোনও যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা হতে পারে না।”
মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদেই বিলকিস বানোর প্রসঙ্গ ওঠে। মহারাষ্ট্রের ভাণ্ডারা জেলায় ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলাকে তিন ব্যক্তি যৌন নির্যাতন করার ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে করতেই বিলকিস বানো ও তাঁর ধর্ষকদের মুক্তির প্রসঙ্গ ওঠে। উপমুখ্যমন্ত্রী সকলকে চুপ করিয়ে জানান, বিলকিস বানোর প্রসঙ্গ এই আলোচনা সভায় তোলায় কোনও কারণ নেই।
কিন্তু এরপরই তিনি বলেন, “২০০২ সালে বিলকিস বানো ধর্ষণকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে গুজরাট সরকার অভিযুক্তদের মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু কোনও অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যদি সংবর্ধনা দেওয়া হয়, তবে তা ভুল। একজন অভিযুক্ত অভিযুক্তই থেকে যাবে। তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার কোনও ব্যাখ্যা হতে পারে না।”
বিলকিস বানো ধর্ষণকাণ্ড-
২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার সময় গোধরাকাণ্ডের সময়ে গণধর্ষিত হন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানো। তাঁর চোখের সামনেই আছড়ে মেরে ফেলা হয় তিন বছরের মেয়েকে। খুন করা হয় পরিবারের ৭ সদস্যকে। সুবিচার চেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আইনি লড়াইয়ের পর ২০০৮ সালে মুম্বই আদালতের তরফে ১১ জনকে ধর্ষণের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৮ বছর পর সম্প্রতিই ধর্ষণে অভিযোগে এক অভিযুক্ত মুক্তির আবেদন জানান। সুপ্রিম কোর্টের তরফে গুজরাট সরকারকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করা হলে, সরকার ১১জনকে মুক্তি দেন। ১৫ অগস্ট ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাদের গলায় মালা দিয়ে, মিষ্টিমুখ করিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই বিতর্ক শুরু হয়।