মুম্বই: ক্ষমতার অপব্যবহার ও তোলাবাজির অভিযোগ উঠতেই পদ ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh)। এ বার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাল ইডি (ED)। সূত্রের খবর, অনিল দেশমুখের নাগপুরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি।
এ দিন সকালেই অনিল দেশমুখের নাগপুরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। এর আগে সিবিআইয়ের তরফেও তোলাবাজি কাণ্ডে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুম্বই ও নাগপুরের দুটি বাড়ি সহ মোট চার জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল।
মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মার্চ মাসে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর বদলে দায়িত্ব নেন হেমন্ত নাগরালে। এই ঘটনার পরই প্রাক্তন পুলিশকর্তা উদ্ধব ঠাকরেকে একটি ছয় পাতার একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তিনি জানান, অম্বানীকাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়ে এবং এসিপি সঞ্জয় পাটিলকে প্রতিমাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলেন। এর জন্য মুম্বইয়ের ১৬০০ বার-রেস্তরাঁকেও চিহ্নিত করেছিলেন তিনি।
Maharashtra: Enforcement Directorate (ED) raids former Maharashtra Home Minister Anil Deshmukh's residence in Nagpur, in connection with an alleged money laundering case.
Visuals from outside his residence. pic.twitter.com/PD69rBSOsv
— ANI (@ANI) June 25, 2021
প্রথম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেও বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট ও পরে বম্বে হাইকোর্টে যায়। দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সিবিআইকে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেন এবং কোনও তথ্য প্রমাণ মিললে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেন। এরপরই সিবিআই এফআইআর দায়ের করে এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফেও অর্থ তছরুপের অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়।
অন্যদিকে, বম্বে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই অনিল দেশমুখে ৫ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। তিনি জানান, নৈতিকতার খাতিরেই ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘প্রয়োজনের তুলনায় ৪ গুণ বেশি অক্সিজেন চেয়েছে দিল্লি’, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে