Suicide Case: ঠিকভাবে শাড়ি পরতে পারেন না স্ত্রী, বিয়ের ৬ মাসের মধ্যেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন স্বামী
Suicide Case: ঘর থেকে একটি সুইসাইড লেটারও উদ্ধার করা হয়েছে। সেই চিঠিতেই তিনি দাবি করেছেন যে, স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
মুম্বই: মাত্র ছয় মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু দাম্পত্য সম্পর্ক তৈরির শুরুতেই হল ছন্দপতন। একে অপরকে ভাল করে চিনে ওঠার আগেই আত্মহত্যা করলেন স্বামী। তবে দাম্পত্য কলহ নয়, স্ত্রী একটি কাজ করতে পারেন না বলেই মনের দুঃখে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। সুইসাইড নোটে সেই কথাও জানিয়ে গেলেন বছর ২৪-র ওই যুবক। সোমবার মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা সমাধান সাবলে নামক যুবক আত্মহত্যা করেন। সুইসাইড লেটারে তিনি জানিয়ে গিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী নাকি সঠিকভাবে শাড়ি পরতে পারেন না। সেই কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র পুলিশের তরফে জানানো হয়, মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের মুকুন্দনগরের বাসিন্দা ওই যুবকের বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘর থেকে একটি সুইসাইড লেটারও উদ্ধার করা হয়েছে। সেই চিঠিতেই তিনি দাবি করেছেন যে, স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রী নাকি শাড়ি পরতে পারে না। তাঁর স্ত্রী ঠিকভাবে চলাফেরা, এমনকি কথাও বলতেন না।
মুকুন্দওয়াড়ি পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ ব্রহ্ম গিরি বলেন. “মৃত ব্যক্তির ঘর থেকে একটি সুইসাইড লেটার উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তিনি দাবি করেছেন যে স্ত্রী ঠিকভাবে শাড়ি পরতে পারেন না। সঠিকভাবে হাঁটতে বা কথা বলতেও পারেন না।”
জানা গিয়েছে, মাত্র ছয় মাস আগেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। ওই ব্যক্তির স্ত্রী তাঁর থেকে বয়সে ছয় বছরের বড়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কে ফাটল ধরে।
তবে পুলিশ আত্মহত্যার কারণ বিশ্বাস করতে রাজি নয়। শুধুমাত্র শাড়ি পরতে না পারার কারণে ক্ষোভে কেউ আত্মহত্যা করতে পারে, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি বা অন্য কোনও কারণে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।