মুম্বই: প্রতিদিন বেড়েই চলেছে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বনাম রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(Jagdeep Dhankhar)-র টুইট যুদ্ধ বর্তমানে সম্মুখ সমরে পরিণত হয়েছে। এবার বাকি অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও দলে টানতে চাইছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সম্প্রতিই তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন(MK Stalin)-র সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন। বিরোধী দলগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে যে বৈঠকের পরিকল্পনা হচ্ছে, তা আগামী মাসে হবে বলেই জানালেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক (Nawab Malik)। মঙ্গলবার তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলের মুখ্য়মন্ত্রীদের নিয়ে যে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন, তা মার্চ মাসের ১০ তারিখের পর হবে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, নবাব মালিক বলেছেন, “বিজেপি যেভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার করছে, তা রুখতে মহা বিকাশ আগাড়ির তিন দলই আগামিদিনে বৈঠকে বসবে। তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর জানিয়েছেন তিনি উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করবেন। স্ট্যালিনও জানিয়েছেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করবেন। অবিজেপি শাসিত মুখ্যমন্ত্রীরা ১০ মার্চের পর একসঙ্গে দেখা করবেন।”
সোমবারই শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছিলেন, “২০ দিন আগেই বিজেপির নেতারা দেখা করেছিলেন। মহারাষ্ট্রের আগাড়ি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আমায় সাহায্য করতে বলেছিলেন।” উল্লেখ্য, প্রায়সময়ই মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের তিন সদস্য শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট ভাঙানোর অভিযোগ করা হয়।
চলতি মাসে উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড সহ ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশে দুই দফা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে, উত্তরাখণ্ড ও গোয়াতেও ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখনও উত্তর প্রদেশে পাঁচ দফা এবং পঞ্জাব ও মণিপুরে নির্বাচন হওয়া বাকি। এই রাজ্যগুলির মধ্যে পঞ্জাব বাদে বাকি চার রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। আগামী ১০ মার্চ পাঁচ রাজ্যেরই বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হবে। এই নির্বাচনে কোনও রাজ্যে বিজেপির গদি উলটায় কিনা, তা জানার জন্যই অপেক্ষা করছে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।
সম্প্রতিই বিধানসভা অধিবেশন বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিজেপি শাসিত বাকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও দলে টানতেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনকে ফোন করেন তিনি। অন্যদিকে, তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সরব হন।