মুম্বই: শক্তি পরীক্ষার জন্য ৩০ জুন আস্থা ভোটের (Confidence Vote) নির্দেশ দিয়েছেন খোদ রাজ্যপাল। কিন্তু, তার বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গিয়েছে শিবসেনা। সেখানে আস্থা ভোটের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন উদ্ধব শিবিরের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। ১১ জুলাইয়ের শুনানির আগে কেন আস্থা ভোট? এদিন শীর্ষ আদালতে শুনানির শুরুতে প্রথমেই এ প্রশ্ন করেন সিংভি। তারপরেই ‘কবে ফ্লোর টেস্ট করা যেতে পারে, এনিয়ে কোনও নিয়ম আছে কিনা উদ্ধব শিবিরের আইনজীবীর কাছে পাল্টা প্রশ্ন করা হয় আদালতের তরফে। সূত্রের খবর, সওয়াল জবাব চলতে চলতেই তিনি বাংলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন সিংভি। বলেন, রাজ্যপালের উচিৎ মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে চলার কথা, বিরোধী দলনেতার পরামর্শে চলার কথা নয়। বুধবার বিকাল ৫টাতে শুরু হয় এ মামলার শুনানি।
বদলাচ্ছে ঔরঙ্গাবাদের নাম
এদিকে মহারাষ্ট্রের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে যেখানে উদ্ধবের হিন্দুত্বই প্রশ্নের মুখে সেখানে এবার সেই উদ্ধবই নতুন করে হিন্দত্বের পথে হাঁটলেন বলে দেখা গেল। ঔরঙ্গাবাদের নাম বদল নিয়ে জল্পনার মধ্যেই তাতে পড়ে গেল পাকাপাকি সিলমোহর। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নামে দেওয়া এ শহরের নাম এখন থেকে বদলে হতে চলেছে শম্ভাজিনগর। যা নিয়েও নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে। নতুন নামই বুধবার উদ্ধবের মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন হয়ে যায়।
আজই শেষ দিন?
এদিকে শীঘ্রই ইস্তফা দিতে পারেন উদ্ভব, এ জল্পনা শোনা যাচ্ছিল গত ২ দিন ধরেই। এমনকী আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সেই জল্পনা আরও জোরদার হল বলে খবর। ইস্তফার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতও রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই খসড়া ইস্তাফাপত্রও তৈরি করে ফেলেছেন উদ্ধব। তবে তাতে সই করা বাকি রয়েছে। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আস্থা ভোটে যাওয়ার চূড়ান্ত নির্দেশ আসা মাত্রই তিনি ইস্তফাপত্রে সই করে বিধানসভা পেশ করতে পারেন। এর জন্য আস্থা ভোটের মঞ্চকেই বেছে নিতে চাইছেন বলে খবর। এদিকে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরেও উদ্ধবকে নমস্কার করতে করতে বিধানসভা থেকে বের হতে দেখা যায়। থেকে অনেকেই বলছেন তার চালচলন এমন ছিল যেন আজই তাঁর শেষ দিন। আজ তিনি বৈঠকেও এ বলেন,” আমার নিজের লোকেরাই আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।” উদ্ধবের এ মন্তব্যেও বিষাদের যে সুর রয়েছে তা নিয়েও ইস্তফার জল্পনা আরও জোরদার হচ্ছে।
কেশিয়ারি-ফড়ণবীস বৈঠক
প্রসঙ্গত বুধবার সন্ধ্যাতে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কেশিয়ারির সঙ্গে দেখা করতে আসেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। সেখানে তিনি দ্রুত আস্থা ভোটের দাবি করেছিলেন বলে জানা যায়। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের কাছে তিনি দাবি করেন বর্তমানে শিবসেনার ৩৯ জন বিধায়ক বাইরে রয়েছেন। এমনকী তাঁরা ক্রমাগত বলছেন তাঁরা এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সরকারে থাকতে চান না। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাই উদ্ধবের নিজেরই শক্তি পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এদিকে ফড়ণবীসের সঙ্গে সাক্ষাৎের পরেই নির্দিল বিধায়কদের দাবির প্রসঙ্গ তুলে আস্থা ভোটের কথা জানিয়ে দেন রাজ্যপাল। সেই আস্থা ভোটেরই বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে শিবসেনা।