নয়া দিল্লি: আগে দেশের রাজধানী ছিল কলকাতা। পরবর্তী সময়ে তা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে দিল্লির যোগ রয়েই গিয়েছে। প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ কলকাতা থেকে দিল্লি এবং দিল্লি থেকে কলকাতা যাতায়াত করেন। সড়ক, রেলপথের পাশাপাশি আকাশপথেও যুক্ত দুই রাজ্য, তবে যাতায়াতের যদি কথা ওঠে, তবে মধ্যবিত্তের প্রথম পছন্দ হয় রেলপথই। ১৫২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে পার করতে ১৭ থেকে ২৩ ঘণ্টা অবধি সময় লেগে যায়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে রেলের কামরায় বন্দি হয়ে থাকার দিন শেষ। এবার থেকে কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা কম সময় লাগবে। কলকাতা-দিল্লির ট্রেনের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় রেলওয়ের তরফে ট্রেনের সময়সীমা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা থেকে দিল্লিগামী ট্রেনগুলিতে যাতায়াতে যাতে কম সময় লাগে, তার জন্য ট্রেনগুলির গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটবে কলকাতা-দিল্লিগামী ট্রেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মিশন রফতার’ প্রকল্পের অধীনে ১৫২৫ কিলোমিটার এই দীর্ঘ পথে দ্রুত যাতায়াতের জন্য ট্রেনের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নয়া দিল্লি-মুম্বইয়ের ১৪৮৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটে যাত্রার সময় কমানোর জন্যও একই পরিকল্পনা অনুসরণ করা হয়েছে।
বর্তমানে কলকাতা-দিল্লির মধ্যে যাতায়াতের সবথেকে দ্রুত ট্রেন হল রাজধানী এক্সপ্রেস। হাওড়া স্টেশন থেকে বিহারের গয়া হয়ে নয়া দিল্লি পৌঁছতে রাজধানীর সময় লাগে ১৭.০৫ ঘণ্টা। তবে মিশন রফতারের অধীনে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ৮৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এরফলে আগামিদিনে ১৫ ঘণ্টারও কম সময়েই হাওড়া থেকে দিল্লি পৌঁছে যাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই ফেন্সিং, ওভারহেড তার, অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশনের মতো আধুনিক প্রযুক্তির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ফ্রান্স, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা ও চিনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলেই জানানো হয়েছে রেল মন্ত্রক সূত্রে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুলাই মাসে রাজধানীর সর্বোচ্চ গতি বাড়িয়ে প্রতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার করা হয়েছিল।