Maharashtra Political Crisis : সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি শিন্ডে শিবিরের, পাল্টা চাপের মুখে উদ্ধব?

Supreme Court : শিন্ডে শিবিরের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আপাতত বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছে। এদিন বিধানসভার স্পিকার সহ সব পক্ষকে নোটিস জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

Maharashtra Political Crisis : সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি শিন্ডে শিবিরের, পাল্টা চাপের মুখে উদ্ধব?
গ্রাফিক্স সৌজন্যে : টিভি৯ বাংলা

| Edited By: অঙ্কিতা পাল

Jun 27, 2022 | 4:12 PM

মুম্বই : মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। আগেই একনাথ শিন্ডে সহ তাঁর শিবিরের ১৫ জন সেনা বিধায়ককে দলের অযোগ্যতার নোটিস (Disqualification Notice) পাঠিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। এবার সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গতকালই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিবসেনা বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। এদিন সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল। বিদ্রোহী শিবসেনার বিধায়কের আবেদনের ভিত্তিতে দেশের শীর্ষ আদালত এদিন জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।

সোমবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এদিন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি জ়িরওয়াল, দলের মুখ্য সচেতক সুনীল প্রভু ও শিবসেনার বিধানসভায় দলনেতা অনিল চৌধুরীকে নোটিস পাঠিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সব পক্ষকে আগামী পাঁচদিনের মধ্যে হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১১ জুলাই। ততদিন বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিন সুপ্রিম কোর্টে একরকম স্বস্তি মিলল শিন্ডে শিবিরের। এদিন ৩৯ জন বিদ্রোহী বিধায়ক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে মহারাষ্ট্র সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

গতকালই ডেপুটি স্পিকারের পাঠানো নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে শিন্ডে শিবির। সেই আবেদনে তিনটি বিষয় তুলে ধরেন শিন্ডে। তাঁকে বরখাস্ত করে অনিল চৌধুরীকে বিধানসভার দলনেতা করাকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। দ্বিতীয়ত একনাথ শিবিরের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে যে তাঁদেরকে বরখাস্ত করার পদক্ষেপ যেন ডেপুটি স্পিকার না নেন। পাশাপাশি একনাথ শিবিরে থাকা বিধায়কদের বরখাস্ত করার ব্যাপারে যে নোটিশ জারি করা হয়েছে সেটিকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। এদিকে এই আবেদনে শিন্ডে দাবি করেছিলেন যে, ৩৮ জন বিদ্রোহী সেনা বিধায়ক মহাবিকাশ আগাড়ি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর ফলে তাঁদের দাবি, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে আগাড়ি সরকার।