মুম্বই: একদিকে উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ, অন্যদিকে রাজ্যে বসেছে ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) ভ্যারিয়েন্টের থাবাও। শুক্রবার রাজ্যে প্রথম ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত এক বৃদ্ধার মৃত্যু হতেই নড়েচড়ে বসল মহারাষ্ট্র (Maharashtra) প্রশাসন। পাঁচ পর্যায়ের যে আনলক প্রক্রিয়া (Unlock Process) চালানো হচ্ছিল, তাতেও আনা হল পরিবর্তন।
চলতি মাসের শুরুতেই মহারাষ্ট্রে আনলক প্রক্রিয়ার ঘোষণা করা হয়। ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী বিজয় ওয়াদ্দেতিয়ার জানান, পজেটিভিটি রেট বা আক্রান্তের হার এবং জেলায় কত শতাংশ অক্সিজেন বেড ভর্তি, তার উপর নির্ভর করে পাঁচ স্তরে আনলক প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। প্রথম স্তরে যে সমস্ত জেলাগুলি থাকবে, সেখানে লকডাউন সম্পূর্ণ তুলে নেওয়া হবে। পঞ্চম স্তরে থাকা জেলাগুলিকে রেড জ়োন হিসাবে চিহ্নিত করা হবে। সেখানে সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে।
সেই নিয়ম মেনেই জেলাভিত্তিক আনলকের প্রক্রিয়া শুরু হলেও প্রথম দুই সপ্তাহেই শপিং মল, বাজার হাটে ভিড় জমতে শুরু হয়, তাতে ফের ১০ হাজারের গণ্ডিতে পৌঁছয় দৈনিক সংক্রমণ। এরমধ্যেই আবার একাধিক জেলায় খোঁজ মিলছে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের খোঁজও। সব মিলে পরিস্থিতি ফের একবার ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই আনলকের নিয়মে পরিবর্তন আনল মহারাষ্ট্র সরকার।
শুক্রবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যসচিব সীতারাম কুন্তে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানান, কোনও জেলাতেই সম্পূর্ণ আনলক করা চলবে না। অন্তত লেভেল ৩-এ যে বিধিনিষেধগুলি আরোপ হয়েছে, তা জারি রাখতে হবে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রুখতে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী ভাইরাসের মিউটেশন ও তা থেকে সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখেই রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত জেলা প্রসাশনকে পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা অবধি কমপক্ষে তৃতীয় স্তরের বিধি নিষেধ আরোপ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।”
তৃতীয় স্তরের বিধিনিষেধে জিম, স্পা, সেলুন খোলার অনুমতি মিললেও তা বিকেল ৪টে অবধি খোলা রাখা যাবে এবং ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়েই দোকান চালাতে হবে। বেসরকারি অফিসগুলিও ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে পরিচালন করতে হবে। বিয়েবাড়িতে ৫০ জন ও শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে ২০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। বন্ধ থাকবে শপিং মল, সিনেমা হল।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার পিএ, আর্থিক তছরূপকাণ্ডে অনিল দেশমুখকে সমন ইডির